রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দলের বিধায়ক তাপসী মন্ডল তৃণমূলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বুঝতেই পারেনি বিজেপি!

March 11, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় পদ্ম পতাকা নিয়েছিলেন তাপসী মন্ডল। তখন তিনি সিপিএম বিধায়ক। ওই একই সভায় তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগদান করেন। সূত্রের দাবি, তাপসীকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটের বছরখানেক আগে আবার দল বদলেছেন তাপসী। তাঁর সঙ্গে শাহের সভায় সেদিন বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সিপিএমের হলদিয়া দক্ষিণ জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামল মাইতিও। সোমবার সেই শ্যামলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাপসী।

কিন্তু তাঁর এই যোগদানের বিষয়টি এতটুকুও আঁচ করতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূল ভবনে যোগদানের কিছুক্ষণ আগেও তাপসী ছিলেন বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের ঘরে। অধিবেশন কক্ষে না গেলেও পরিষদীয় দলের ঘরে বসেই হাল্কা গল্পগুজবও করলেন দলের অন্যে বিধায়কদের সঙ্গে। লাঞ্চও করলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ হঠাৎ উধাও। তারপর খবর তৃণমূল ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। হতভম্ব বিজেপি।

বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দল ভাবতেই পারেনি এমন কিছু ঘটতে চলেছে। একেবারে নিখুঁত অপারেশন তৃণমূলের। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বিজেপি বিধায়করা। জানতে পারার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বিধায়ক থাকলে জেলা সভাপতি হতে পারবেন না, তাই দল ছেড়েছেন তাপসী। আর সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিটও দেওয়া হত না।

অন্যদিকে তৃণমূলে যোগ দিয়ে তাপসী বলেন, ‘‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ওঁকে বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার পরে এলাকার কর্মীদের সঙ্গে, বিধায়কের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছেন উনি। এটা স্বাভাবিক পরিবেশ নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উনি বাইরে থেকে গিয়ে সকলের সঙ্গে (তমলুক লোকসভায়) বিরোধিতায় জড়াচ্ছেন। তাঁর মাধ্যমে আমাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়েছে। আগে যখন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে (বিজেপিতে) ছিলাম, তখনও কোনও কাজের সুযোগ পেতাম না। বিজেপিতে গিয়ে কোনও কাজের মধ্যে যুক্তই হতে পারিনি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #politics, #Trinamool Congress, #Tapasi Mondal

আরো দেখুন