দোল উপলক্ষে দিঘা-মন্দারমনিতে পর্যটকের জোয়ার, রেকর্ড বুকিং, মদ্যপদের সামলাতে তৎপর প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সরকারি কর্মীদের দোল ও হোলিতে দু’দিন ছুটি। এবছর ১৪ মার্চ শুক্রবার দোল, তার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ শনিবার হোলি। তার পরের দিন ১৬ মার্চ রবিবার এমনিতেই ছুটির দিন। ফলে টানা তিনদিনের ছুটি। সেই ছুটির মজা নিতে ভ্রমণপিপাসুরা ইতিমধ্যেই হোটেল বুকিং সেরে রাখছেন। সপ্তাহান্তের এই তিন দিন রাজ্যের সমুদ্রনগরী দিঘায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে নথিভুক্ত বড় হোটেল এবং লজ রয়েছে ৮০০টি। ছোট এবং মাঝারি হোটেল মিলিয়ে সেই সংখ্যা ছুঁয়েছে প্রায় দু’হাজার। সেই সব হোটেল এবং লজে আগামী ১৪ মার্চ থেকে অর্ধেকের বেশি রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে বলে দাবি।
আসলে দোলের সময় সময় কলকাতার কাছাকাছি সৈকত শহরগুলিতে পর্যটকদের ভিড় নতুন কিছু নয়। কিন্তু, অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে, বেড়াতে আসা লোকজনের মধ্য়ে একটা অংশ আনন্দ-ফূর্তির নামে রীতিমতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। অন্যদের বিরক্ত করেন। এমনকী, নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর বা অপরাধমূলক আচরণ করারও অভিযোগ ওঠে।
এই ধরনের বিশৃঙ্খলাকারীদের রুখতে তাই আগেভাগেই সতর্ক রয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক অপূর্বকুমার বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, দোল-হোলির সময়টায় সৈকতে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। যাতে কেউই মদ্যপান করেন সমুদ্রে না নামেন, সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখা হবে।
আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। তার আগেই অনেকে যতটা কাছ থেকে সম্ভব বাইরে থেকেই মন্দির দর্শন করতে চাইছেন। এছাড়াও, মানুষের মধ্য়ে দিঘা নেচার পার্ক নিয়েও অত্যন্ত উৎসাহ রয়েছে।