বাংলাকে আর্থিক বঞ্চনা থেকে GST, একাধিক ইস্যুতে সংসদে আওয়াজ তুললেন তৃণমূল সাংসদরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন। আজ বাংলাকে আর্থিকভাবে বঞ্চনা, চিকিৎসা, জীবন ও অন্যান্য বিমা থেকে জিএসটি তুলে দেওয়াসহ একাধিক ইস্যুতে সংসদে কেন্দ্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলেন তৃণমূল সাংসদরা।
লোকসভা
১। লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সংসদে প্রশ্ন তোলেন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন, ২০০৫-এর জন্য টাকা না পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চিত করছে। এছাড়াও সুবিধাভোগীদের মধ্যে অনেককে ভুলভাবে তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
২। দ্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল, ২০২৫ পেশ করার বিরোধিতা করলেন লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়। খবর মিলেছে,, বিলটি ভারতের পুরানো অভিবাসন আইনকে আধুনিকীকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
৩।লোকসভার সাংসদ কালিপদ সোরেন (খেরওয়াল) জিরো আওয়ারে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে একটি ডেডিকেটেড সাঁওতালি চ্যানেলের জন্য বাংলার মানুষের দাবি এবং কলকাতার অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সাঁওতালি ভাষার স্থায়ী কর্মীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন।
৪। ২০২৪-২৫ সালের সম্পূরক দাবির উপর আলোচনা ও ভোটাভুটিতে লোকসভার সাংসদ কীর্তি আজাদ বক্তব্য রাখেন।
৫। ২০২৪-২৫ সালের সম্পূরক মঞ্জুরি দাবির উপর আলোচনা ও ভোটাভুটি সম্পর্কে লোকসভায় বক্তব্য রাখেন সাংসদ সায়নী ঘোষ।
রাজ্যসভা
১। রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের প্রশ্ন, শুল্ক কমানোর মতো স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপের বাইরে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? এছাড়াও চিকিৎসা, জীবন ও অন্যান্য বিমা থেকে জিএসটি তুলে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
২। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সৌর প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করতে সরকারের কী পরিকল্পনা? সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব।
৩। শিক্ষা মন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বক্তব্য রাখেন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪। শিক্ষা মন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বক্তব্য রাখেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনে EPIC সংক্রান্ত মেমোরান্ডাম পেশ করল ১০ সাংসদের তৃণমূলের সংসদীয় এক প্রতিনিধিদল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েনের মতো সিনিয়র সাংসদরা। সংবাদ মাধ্যমকে তাঁরা জানান যে, একটা EPIC কার্ডে একাধিক ভোটার অবৈধ। দুই জেলার দুজন লোকেরও একই এপিক নম্বর সম্পূর্ণ বেআইনি। তাঁরা আলাদা দফার ভোটে এসে ভোট দিলে কী হবে? তাছাড়া, নির্বাচন কমিশনের ২৮ নম্বর রুলে উল্লেখ রয়েছে, একটা EPIC নম্বরে একজনই ব্যক্তি থাকবে।