দেশ বিভাগে ফিরে যান

বাম শাসিত ত্রিপুরায় স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল হয় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি

April 4, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের আমলে ত্রিপুরায় বাম জমানায় ২০১০ এবং ২০১৩ সালে দু’দফায় স্কুলশিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক পদে ১০,৩২৩ জনের নিয়োগ হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সেই নিয়োগ নিয়ে। এরপর ত্রিপুরা হাই কোর্টে ২০১৪ সালের মে মাসে, নিয়োগপ্রাপ্ত 10,323 শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে। এই সিদ্ধান্ত ১,১০০ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষক, ৪,৬১৭ স্নাতক শিক্ষক এবং ৪,৬০৬ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষককে প্রভাবিত করেছিল। স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতির মতো বিষয় উল্লেখ করে আদালত দেখেছে যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।

ত্রিপুরার বাম সরকার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দাখিল করে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। আগস্ট ২০১৪ সালে, সুপ্রিম কোর্ট SLP স্বীকার করে এবং দুই মাসের মধ্যে একটি নতুন কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়নের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করে। এই অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক এবং রাজ্য সরকারকে সাময়িক ত্রাণ প্রদান করে।

যাইহোক, মার্চ ২০১৭ সালে, সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে, ১০,৩২৩ টি শিক্ষক নিয়োগের অবসান নিশ্চিত করে। শীর্ষ আদালত ত্রিপুরা সরকারকে একটি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের নতুন বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে।

ঘটনাগুলির এই সিরিজটি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং পরবর্তী রাজনৈতিক উন্নয়নে এটি একটি প্রধান সমস্যা হয়ে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল, এবং বিষয়টি ত্রিপুরায় রাজনৈতিক আলোচনাকে প্রভাবিত করেছিল, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়কালে।

উল্লেখযোগ্য বিষয়, এরাজ্যে বেনিয়মের অভিযোগে যে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে, সেখানে সেই বামেরাই অনুঘটকের ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সমাজমাধ্যমে অনেকেই খোঁচা দিচ্ছে বাম নেতাদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tripura, #SSC, #Teachers suspension

আরো দেখুন