রাহানে-রিঙ্কুদের মরিয়া লড়াইয়েও হার বাঁচাতে পারল না KKR, ৪ রানে জিতল LSG

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইডেনের বাইশগজ ফের মুখ ফেরাল নাইট শিবির থেকে। ঘূর্ণি পিচ নয়, ইডেনের বাইশগজ রানের ডালি সাজিয়ে বসেছিল ব্যাটারদের জন্য। যেখানে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ফোটাতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরানদের।
নাইট শিবিরের হয়ে অজিঙ্কা রাহানে, বেঙ্কটেশ আইয়ার, রিঙ্কু সিংরাও পালটা লড়াই চালান বটে, তবে লখনউয়ের রানের পাহাড় টপকে জয় তুলে নেওয়া সম্ভব হয়নি হোম টিমের পক্ষে। ফলে আশা জাগিয়েও ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কেকেআরকে।
এদিন ইডেনে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেকেআর। দলে মইন আলির জায়গায় এসেছিলেন স্পেনসর জনসন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত একেবারেই কাজে লাগেনি নাইটদের। ৩ ওভারে ৪৬ রান দিলেন অজি পেসার। ২ উইকেট তুললেও দেদার রান বিলোলেন হর্ষিত রানা। মার্শ-পুরান ঝড়ে কার্যত দিশেহারা দেখাচ্ছিল নাইট বোলিংকে। মার্শ করলেন ৮১। পুরান অপরাজিত থাকলেন ৮৭ রানে। মার্করাম করেন ৪৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানে থামে লখনউ।
অকাল কালবৈশাখী উঠল নাইটদের ইনিংসেও। আকাশ দীপের প্রথম ওভারেই উঠল ১৬ রান। কুইন্টন ডি’কক ভালো শুরু করেও বড় রান পেলেন না। ৯ রান করে ফিরে গেলেন নাইট ওপেনার। সুনীল নারিন ১৩ বলে ৩০ রান করেন। কিন্তু ততক্ষণে প্রয়োজনীয় গতি পেয়ে গিয়েছিল নাইটরা। সেটাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। ৩৫ বলে ৬১ রান করেন তিনি। মারেন ৮টি চার ও ২টি ছয়। যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারও। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জুটিতে একটা সময় জয় প্রায় হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল নাইটদের। কিন্তু এভাবে যে পাশা বদলে যাবে কে ভেবেছিল! বোলিংয়ের সময় ডেথে ব্যর্থ হয়েছিলেন রাসেলরা। আর ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩ রানে পড়ল ৫ উইকেট।
সেটা শুরু হল রাহানের আউট থেকে। তারপর রমনদীপ সিং ফিরলেন মাত্র ১ রানে। কেন পরের দিকে নামানো হচ্ছে, মাঝে এরকম একটা ‘অভিমান’ও ছিল নাইট ব্যাটারের। এদিন আগে নেমেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। তরুণ তুর্কি অঙ্গকৃষ রঘুবংশী এদিন রান পেলেন না। রাসেলের মাসল পাওয়ার এদিনও দেখা গেল না। আর কবে দেখা যাবে সেটাও একটা প্রশ্ন। শেষবেলায় রিঙ্কু লড়লেন। পুরনো ফর্মের ঝলক দেখালেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৪ রান। কিন্তু সেই মিরাকল ঘটল না। শেষ পর্যন্ত নাইটদের ইনিংস শেষ হয় ২৩৪ রানে। ৪ রানে হারল নাইটরা।