দার্জিলিং চা থেকে পাট, সংসদের বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে উঠে এল বাংলার সমস্যা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সদ্য বৈঠকে বসেছিল সংসদের বাণিজ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এই কমিটির চেয়ারপার্সন। কমিটির বৈঠকে উঠে এল বাংলার নানান সমস্যার কথা। দার্জিলিং চা জিআই ট্যাগ পেলেও, তার বাস্তবায়নে ত্রুটি থেকে গিয়েছে। নেপাল থেকে আসা নিম্নমানের নেপালি চা দার্জিলিং চায়ের নামে বিক্রি হচ্ছে। নেপালি চা শুল্কমুক্ত, ফলে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। চা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাটের ব্যাগের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ফুড প্যাকেজিং আইন ১৯৮৭ অনুযায়ী, চিনি ও খাদ্যশস্য
প্যাকেট বন্দি করার ক্ষেত্রে পাটের বস্তা ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু বিগত এক বছরে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বেড়েছে। চিনির ক্ষেত্রে মাত্র কুড়ি শতাংশ ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ(বস্তা) ব্যবহার করা হচ্ছে, অর্থাৎ ৮০% ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওষুধের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ১৯ মার্চ ওষুধের দাম কমানোর সুপারিশ করেছিল কমিটি।
চর্মশিল্পে উন্নতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছে বাংলা। বিজেপি সাংসদ রমেশ অভস্থি বলেন, চর্মশিল্পে উত্তরপ্রদেশ, কানপুরকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলা। বাংলার সরকারের সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেমের সুফল পাচ্ছে তারা। শ্রম আইন বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত। যাতে প্রধান নিয়োগকর্তার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং কোনও শ্রমিক যেন প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত না হন।
কেন্দ্রীয় ই-বাজার (Government e Marketplace – GEM portal) যার মাধ্যম দিয়ে সরকারি সমস্ত বেচাকেনা হয়, সেই পোর্টালের ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উঠে আসে যে শ্রম আইন বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত। যাতে ঠিকাদার নয়, প্রধান নিয়োগকর্তার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং কোনও শ্রমিক যেন প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত না হন।