ছাব্বিশের নির্বাচনে এক ঝাঁক প্রাক্তন আমলা, পুলিশ কর্তাকে টিকিট দিতে পারে বাংলার শাসক দল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কাকে, কোথায় টিকিট দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে নানান দলের অন্দরে। শোনা যাচ্ছে, প্রাক্তন আমলা, পুলিশ কর্তাদের টিকিট দিতে পারে বাংলার শাসক দল।
অতীতেও তৃণমূল একাধিক আমলা, পুলিশ কর্তাকে টিকিট দিয়েছে। মন্ত্রী করেছে। পুলিশ কর্তা রচপাল সিংকে বিধায়ক ও মন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন আমলা মনীশ গুপ্তকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল। জহর সরকারকেও রাজ্যসভার সদস্য করেছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার এখন রাজ্যের মন্ত্রী। পুলিশ কর্তা হুমায়ুন কবির এখন তৃণমূলের বিধায়ক। চাকরি ছেড়ে ডেবরা থেকে একুশে ভোটে লড়েছিলেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, আসন্ন বিধানসভা ভোটে একাধিক প্রাক্তন আমলা, পুলিশ কর্তাকে টিকিট দেওয়া হতে পারে। প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে মালদা উত্তরে প্রার্থী হয়েছিলেন। জিততে পারেননি। রাজ্য পুলিশের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এবার ফের তাঁকে টিকিট দেওয়া হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্ৰাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিদেবীদেরকেও হয়তো প্রার্থী হিসাবে দেখা যেতে পারে। আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীকেও হয়তো টিকিট দেওয়া হতে পারে। প্রাক্তন আইপিএস নজরুল ইসলামও ভোটে লড়তে পারেন তৃণমূলের টিকিট।
মনে করা হচ্ছে, প্রাক্তন আমলা, পুলিশ কর্তারা; যাঁদের প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের বেশি করে ভোট ময়দানে নামাতে চাইছে তৃণমূল। পরবর্তীতে তাঁরা জিতে এলে, তাঁদের হয়তো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রশাসনের শীর্ষস্তরকে আরও মজবুত করতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।