রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ফরাসডাঙার আলোয় সেজে উঠেছে দীঘা, মঙ্গলে যজ্ঞ, বুধে দ্বারোদঘাট

April 27, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সাজ সাজ রব দীঘায়। সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঙ্গলবার যজ্ঞ এবং অক্ষয় তৃতীয়ার দিন জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটনের মাধ্যমে ঘটবে অপেক্ষার অবসান। আলোয় সেজে উঠেছে সৈকত নগরী। মন্দির থেকে রাজপথ, সর্বত্র সেজে উঠেছে চন্দননগরের আলোয়।

ফরাসডাঙার বিখ্যাত আলোর মালায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। জগন্নাথের তিলক থেকে মন্দিরের ধ্বজা, সবই আলোর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। ‘এসএমডি’ লাইটে সাজিয়ে তুলেছেন প্রায় দুশো জন কর্মী।। এই আলোর ঔজ্জ্বল্য অনেক বেশি। দীঘা প্রবেশের গেট থেকে জাহাজবাড়ি পর্যন্ত মোট আটটি বড় বড় আলোর গেট হয়েছে। গেটেই আলো দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে রূপ দেওয়া হয়েছে। আলো দিয়ে জগন্নাথ দেব, মন্দির, শঙ্খ, পুজোর নানা উপকরণ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, দীঘায় জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও মহাযজ্ঞের আগে শাস্ত্রীয় মতে পুজোপাঠ ও হোমযজ্ঞ শুরু হয়ে গেল। শুক্রবার থেকে পুজোপাঠ এবং হোমযজ্ঞ শুরু হয়েছে। জগন্নাথদেবের মূল মন্দিরের সামনে দু’বেলা পুজো এবং হোমযজ্ঞ চলছে। পুরীর মন্দির থেকে ৫৭ জন জগন্নাথদেবের সেবক এবং ইস্কন থেকে ১৭ জন সাধু এসেছেন। ২৮ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘায় পৌঁছবেন। ২৯ তারিখ মহাযজ্ঞ হবে। ১০০ কুইন্টাল আম ও বেলকাঠ ও দু’কুইন্টাল ঘি পোড়ানো হবে। মূল মন্দিরের সামনে মহাযজ্ঞ হবে। মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। ৩০ এপ্রিল জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে।

মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের ব্যস্ততা তুঙ্গে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দীঘাকে। মন্দির উদ্বোধনের দিন সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর জন্য জায়গায়-জায়গায় লাগানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। যান নিয়ন্ত্রণও আরম্ভ হয়েছে।
কোলাঘাট থেকে দীঘা যাওয়ার পুরো রাস্তাটা সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রয়েছে। প্রতিটি থানা এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। দীঘা এবং দীঘা মোহনা কোস্টাল থানা এলাকায় বেশি সংখ্যক ক্যামেরা থাকছে। পুলিশ সুপারের অফিস থেকে সরাসরি নজরদারি চালানো হবে।

দু’দিন ধরে দীঘায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। তাঁদের সুবিধার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সুরক্ষার জন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি প্রতিটি জায়গায় থাকছে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ। সেখান থেকে পানীয় জলের বোতল সরবরাহ করা হবে।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৮০০ পুলিশকর্মীকে আনা হয়েছে দীঘায়। সড়ক বরাবর প্রতিটি থানাকে ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজকুল, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার সহ বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হয়েছে। রবিবার বাইরের জেলা থেকে পুলিশ অফিসার ও কর্মীরা দীঘায় পৌঁছেছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Digha, #Lighting, #jagannath mandir, #Digha Jagannath Temple

আরো দেখুন