‘বাংলার ভোট রক্ষা’ কর্মসূচির গতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, কারণ খুঁজে দেখছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘বাংলার ভোট রক্ষা’ কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির অঙ্গ হল প্রতিটি বুথের কর্মীরা ভোটার তালিকায় সংশোধনের আবেদন করা, নাম যুক্ত করার ও নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করা মানুষদের কাছে যাবে। তাঁদের সঙ্গে আলাপ করে যাচাই করবে তিনি বাংলার ভোটার নাকি কারসাজি করে নাম তুলেছেন। যাবতীয় তথ্য দিদির দূত অ্যাপে আপলোড করতে হবে।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শিক্ষকদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মতো ঘটনাবহুল সময়ে সংগঠনের এই কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে না তো! শুক্রবার আসানসোলের জেলা কার্যালয়ে নেতাদের ক্লাস নিলেন জেলা সভাপতি থেকে মন্ত্রীরা। ‘বাংলা ভোট রক্ষা’ কর্মসূচিতে যে বহু ব্লক গড়িমশি করছে তা এদিন মিটিংয়ে উঠে আসে। প্রতিটি ব্লককে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, আসানসোল দক্ষিণ, কাঁকসা ও দুর্গাপুর ফরিদপুর এলাকায় এই কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সমস্যাও ছিল। আমরা তাও জোর দিয়েছি যাতে সময় মতো মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হওয়া এই কাজ সম্পন্ন করা যায়। মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে সরব হয় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ, বিজেপি অন্য রাজ্য থেকে নিজেদের ভোটারদের এনে এখানে নাম তুলিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করায়। তাতেই তাঁদের জয় হয়। বিষয়টি নিয়ে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও অভিযোগ করেন, ভিন রাজ্য থেকে বাসিন্দাদের বাংলায় ভোটার করানো হচ্ছে। এরপরই তৃণমূল ভোটার তালিকা যাচাই শুরু করে। নির্দিষ্ট ফর্ম্যাৃটে দলীয় কর্মীদের সেই কাজ করার নির্দেশ দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বুথের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা নাম পরিবর্তনের আবেদন করা পরিবারগুলির কাছে যাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেবে কোনও ভুয়ো ভোটারের তালিকায় নাম উঠেছে কিনা। যাবতীয় তথ্য তৃণমূল কংগ্রেসের বানানো পোর্টাল ‘দিদির দূত’-এ আপলোড করতে হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সেই কাজ শুরু হয়েছে। এদিন আসানসোল রাহা লেনে জেলা কার্যালয়ে ব্লক ধরে ধরে সেই কাজের অগ্রগতির হিসেব নেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।