দেশ বিভাগে ফিরে যান

সপ্তম শ্রেণির কেন্দ্রীয় সিলেবাসের পাঠ্যবই থেকে থেকে বাদ পড়ল মুঘল ইতিহাস, প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে

April 29, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে ‍আগেই বদল এনেছে কেন্দ্র। বাদ গিয়েছে মুঘল যুগের অধ্যায় থেকে গান্ধীহত্যা, ডারউইনের বিবর্তনবাদ, গোধরা পরবর্তী হিংসা, বাবরি মসজিদ সহ অনেক কিছু। মোদী সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে ফের উঠল একই অভিযোগ। এবার সপ্তম শ্রেণির কেন্দ্রীয় সিলেবাসের পাঠ্যবই থেকে থেকে বাদ পড়ল মুঘল ইতিহাস, দিল্লির সুলতানি শাসন ব্যবস্থার যাবতীয় ‘রেফারেন্স’। পরিবর্তে সেখানে ঠাঁই পেল কুম্ভমেলা, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এমনকী অটল টানেলের প্রসঙ্গও। এমনই সিদ্ধান্ত ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটি’র।

তাদের অনুমোদিত সপ্তম শ্রেণির সোশ্যাল সায়েন্স পাঠ্যবই ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি – ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’কে ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বইটিতে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের হিন্দু শাসন ব্যবস্থার উপর। যেমন মগধ কিংবা মৌর্য সাম্রাজ্য। এরপরই ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে শিক্ষাবিদরা। প্রশ্ন উঠছে, গেরুয়া শিবির কি সচেতনভাবেই মুঘল কিংবা সুলতানি শাসনকে এড়িয়ে দিতে চাইছে? এভাবে দেশের ইতিহাসের একটি পর্বকেই সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে দিলে স্কুল পড়ুয়াদের শিক্ষা কি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে না?

এই বিষয়ে অবশ্য একপ্রকার সাফাই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘পাঠ্যসূচি থেকে কোনও কিছুই বাদ যায়নি। শুধুমাত্র রিপিটেশন বন্ধ করা হয়েছে মাত্র।’ তীব্র বিতর্কের মুখে ব্যাখ্যা দিয়েছে এনসিইআরটি’ও। তাদের দাবি, ‘এটি সংশোধিত সিলেবাসের প্রথম অংশ মাত্র। দ্বিতীয় অংশ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে।’ অর্থাৎ, শিক্ষামন্ত্রক সূত্রেই ইঙ্গিত, বিতর্ক এড়াতে দ্বিতীয় অংশে বাদ পড়ে যাওয়া ‘ইতিহাস’ পুনরায় জুড়ে দেওয়া হতে পারে। যদিও এর জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু ইতিহাসের জরুরি পাঠ বাদ দিয়ে প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলা কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ সিলেবাসে যুক্ত হয় কী করে? সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Class 7, #Syllabus, #Mughal history

আরো দেখুন