জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে BJP-র হিন্দুত্বকে কড়া চ্যালেঞ্জ মমতার, দিশেহারা পদ্ম পার্টি, বামেরাও?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হিন্দু ও হিন্দুত্ব; এতে ভর করেই একের পর এক ভোটে জিতছে বিজেপি। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা, এখানেও হিন্দুত্বের জিগির তুলতে ব্যস্ত বিজেপি। কিন্তু মমতার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে চাপে পড়েছে বিজেপি। একের পর এক প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বিজেপির নেতারা। বলা হচ্ছে, পুরীর মন্দিরে ২০১৭ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে ফ্যাক্ট চেকিং পোর্টালগুলি এই খবরকে মিথ্যাচার বলে ঘোষণা করেছে। অমিত মালব্য আসরে নেমেছেন, শুভেন্দু অধিকারী বুধবার পাল্টা সনাতনী সম্মেলন করছেন। কিন্তু তাতেও জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে মানুষের উৎসাহ, উদ্দীপনা বিন্দুমাত্র কমেনি।

এই আবহে বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে ১১ জন তদন্ত করছেন। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণাও করেছেন তিনি। কিন্তু খোদ মোদী আসরে নেমেছেন। তিনিও পাল্টা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার কলকাতা শহরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কোনও ক্ষেত্রে কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বলে মনে করা যাচ্ছে না। বিগত বছর হাওড়া মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে, সেখানেও কেন্দ্রের মোদী সরকার কোনও রকম ক্ষতিপূরণ দেয়নি।

অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। আজও মৃতদের পরিবারের জন্য কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেননি মোদী তথা কেন্দ্র সরকার। কিন্তু বাংলার ঘটনায় অতিসক্রিয় হয়ে আসরে নামলেন তিনি। তবে কি এর আড়ালে কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে? জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনকে লঘু করে দেখাতেই কি খোদ মোদী আসরে নামলেন? রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে ব্যবহার করছে বিজেপি? নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক ‘সাবতাজ’ রয়েছে? জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন।
পাশাপাশি, FAKE NEWS ছড়াতে পিছিয়ে নেই বামেরাও? একটি ভাইরাল ফেসবুক একটি কাগজের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হচ্ছে, তা নাকি সিপিএমের মুখপত্র গণশক্তির। সেখানে বলা হয়েছে, দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বেরোনোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কর হয়েছে দুদিন ধরে, পাওয়া যাবেনা আমিষ খাবারও। শাসক দলের নেতারা অবশ্য বলছেন, এসব খবর ভিত্তিহীন।
