বুধে মমতা-সাক্ষাৎ, বৃহস্পতিতে প্রাতঃভ্রমণে দলীয় নেতাদের নিশানা! তুঙ্গে দিলীপের ফুলবদলের জল্পনা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পতাকা পোড়ানো নিয়ে নাম না-করে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিয়ে দলকে কটাক্ষের পর বুধবার বিকেলে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছে যান সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। দিলীপ ঘোষ কি তৃণমূলে যোগদান করছেন? শুরু হয় জল্পনা।
শোনা যাচ্ছে, আগামী ২১ জুলাই শহিদ স্মরণের মঞ্চে দিলীপ ঘোষ যোগ দিতে পারেন তৃণমূল শিবিরে। পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারও ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে পারেন বলে খবর।
ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতারা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি নাম না করে জানিয়েছেন, “কোনও ব্যক্তি তিনি কী করবেন কী বলবেন, কী বলবেন না সেসব উত্তর আমি দেব না।”
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “একজন ‘ত্যাগী’ থেকে কিভাবে ‘ভোগী’ হতে হয় তার আদর্শ নিদর্শন আপনি দিলীপবাবু।”
ঘটনার বারো ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আসরে নামলেন দিলীপ। দীঘায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, দিলীপ ঘোষকে কেউ যেন হিন্দুত্ব শেখাতে না আসে। সকাল ৭টায় দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “আমি সেই পার্টি করি যে পার্টির প্রধানমন্ত্রী কালীঘাটে গিয়ে মমতা ব্যানার্জির মায়ের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন।”
নাম না করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা দলবদলু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে চরম আক্রমণ শানান দিলীপ, বলেন “যারা মমতা ব্যানার্জির আঁচলের ছায়ায় বড় হয়ে আজকে করে খেতে বিজেপিতে এসেছে তাদের কাছ থেকে দিলীপ ঘোষ বিজেপি শিখেবে না।” তিনি আরও বলেন, “যাদের দিনের জীবন একরকম, রাতের জীবন আরেকরকম তাদের কাছ থেকে ত্যাগ-ভোগীর গল্প শুনব না।” বলাবাহুল্য তিনি আর এক দলবদলু বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিশানা করেই এহেন মন্তব্য করেন।