গ্রীষ্মের শহরে পানীয় জলের সংকট রুখতে কী উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। পানীয় জলের সংকট দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে কলকাতা পুরসভা পদক্ষেপ করছে। যদি কোনও কারণে কলকাতায় পানীয় জলের সংকট দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পানীয় জলের জোগান নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। জল সরবরাহ পরিষেবাকে আরও গতিশীল করতে গোটা শহরকে ১২টি জোনে ভাগ করেছে কলকাতা পুরসভা। তিন বছরের একটি অপারেশনাল কন্ট্রাক্ট চালু করছে পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার তথ্যানুযায়ী, এখন ১৩০টি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে শহরের নানা প্রান্তে জরুরি জল সরবরাহ করা হয়। পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখতে সমস্যার মুখে পড়তে হয় পুরসভাকে। পরিবহণ দপ্তরের নির্দেশিকায় জানানো হয়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে একাধিক পুরনো গাড়ির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। শহরে জল ভরার যে নির্দিষ্ট পয়েন্ট আছে সেগুলির সংখ্যাও খুব কম। জোড়া সমস্যা পেরিয়ে নাগরিক পরিষেবা সচল রাখা বেশ চ্যালেঞ্জের। তাই নতুন করে বেশ কিছু ‘ওয়াটার ফিলিং পয়েন্ট’ তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। যাতে কম সময়ে জল ভর্তি করে দ্রুত প্রয়োজনীয় গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তিন বছরের অপারেশনাল কন্ট্রাক্ট চালু হলে নাগরিক পরিষেবায় ধারাবাহিকতা আসবে। গরমকালে জলের চাহিদা বেশি হয়। সেই চাহিদা মেটাতে শহরের বাসিন্দাদের এভাবে জল সরবরাহ করে কলকাতা পুরসভা। ভবিষ্যতে ট্যাঙ্কারের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতদিন ১১ জন তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রত্যেক ট্রিপে ৩৯৫ টাকায় জল দেওয়া হত। ২০২৪ সালে সমীক্ষা করে দেখা যায়, বাজার দর ও শ্রমমূল্য অনুযায়ী প্রত্যেক ট্রিপের নতুন ভিত্তিমূল্য হয়েছে ৬৬৫ টাকা। নতুন ব্যবস্থায় জলের পরিষেবা আরও দ্রুত হবে বলে আশাবাদী কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। নজরদারি করতে বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থাও চালু করা হবে। জলের সমস্যা সমাধানে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালুও করেছে নবান্ন।