BJP শাসিত রাজ্যে আক্রান্ত বাংলার শ্রমিকেরা, শাহের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি ইউসুফ পাঠানের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বাংলার অভিবাসী শ্রমিকেরা। বার বার হিংসার শিকার হাওয়া বাংলার শ্রমিকরা রুটিরুজি ছেড়ে ঘরে ফিরে আসছেন। এবার মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের স্বার্থে উদ্যোগী হলেন বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান। ওড়িশায় বাঙালি অভিবাসী শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি।
ওড়িশায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলার বিষয়ে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন তৃণমূল সাংসদ। পরিযায়ী শ্রমিকের সুরক্ষার জন্য চার দফা পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাঠান চিঠিতে লেখেন, বাংলার শ্রমিকদের উপর হিংসার ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে তাঁর নির্বাচনী এলাকা বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ ও আশেপাশের জেলার শ্রমিক যারা সম্প্রতি ওড়িশা থেকে ফিরে এসেছেন, তাদের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। ওড়িশায় বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই বাংলার শ্রমিকদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কিছু সংগঠিত গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রমিকদের উপর আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে। অনেককে রাতে আক্রমণ করা হয়েছে, মোবাইল ফোন ও তাদের যাবতীয় টাকাপয়সা লুট করে নেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে এবং ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঘটনার তদন্তে একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল গঠন করার জন্য বলছেন ক্রিকেটর সাংসদ।
চিঠিতে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককের কাছে অনুরোধ করেন, ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনকে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রভাবিত জেলাগুলিতে সমস্ত অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। হিংসার মূল কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের জন্য একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল গঠন করতে হবে। বাংলায় ফিরে আসা শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সাহায্য করতে হবে। কান্দির তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার (ডেভিড) জানান, তাঁরা সাংসদকে অনুরোধ করেছিলেন বিষয়টি দেখার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চারদফা দাবিও জানিয়েছেন। এমন ঘটনা বাংলায় ঘটে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যে আরএসএস ও বজরঙ দল পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের দাবি, যথাযথ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চাই।