দেশ বিভাগে ফিরে যান

মোদীর ভারতে মানবাধিকার কমিশনেরও গৈরিকীকরণ! কী পদক্ষেপ রাষ্ট্রসঙ্ঘের?

May 3, 2025 | 2 min read

মোদীর ভারতে মানবাধিকার কমিশনেরও গৈরিকীকরণ! কী পদক্ষেপ রাষ্ট্রসঙ্ঘের?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজনৈতিক রঙ দেখে কাজ করছে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করছে খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শাখা সংগঠন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস জানিয়েছে, ভারতের মানবাধিকার কমিশন আন্তর্জাতিক নীতি মেনে কাজ করছে না। বিশ্বের সমস্ত দেশের মানবাধিকার কমিশনকে স্বীকৃতি দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই শাখা সংগঠন। কড়া পদক্ষেপও করেছে তারা। ভারতের মানবিধকার কমিশনের গ্রেড ‘এ’ ক্যাটিগরি থেকে ‘বি’তে নামিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শাখা সংগঠন। উল্লেখ্য, গত মার্চে আয়োজিত জিএএনএইচআরআই-র ৪৫তম অধিবেশনেই ভারতের মানবাধিকার কমিশনের মর্যাদা হ্রাস করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার এমন হল। যা সরাসরি মোদীর শাসনকালকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলল!

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের বক্তব্য, ভারতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বজায় রাখা হচ্ছে না। কমিশনের উচিত, সব ধরনের মানবাধিকার ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তা হয়নি। জিএএনএইচআরআই সাফ জানিয়েছে, বিরুদ্ধস্বর দমিয়ে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশন, অবস্থান স্পষ্ট করেনি। ভারতে বহু মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা হয়েছে। ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কমিশন সেখানে হস্তক্ষেপ করেনি! আক্রান্ত মানবাধিকার কর্মীদের ন্যূনতম ভরসা জোগাতেও ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার ভঙ্গের অভিযোগের তদন্তের জন্য ভরসা করা হচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদের উপরই! সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার অভিযোগ বার বারউঠলেও পদক্ষেপ করা হয়নি। মোদী সরকারের আমলে কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলির রাজনীতিকরণ নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগও ওঠে নিত্যদিন।

গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাঁদের বক্তব্যকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাঁরা বলেছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতেই চেয়ারম্যান বেছে নেওয়া হয়েছে। দেশের বৈচিত্র্যের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়নি। রিপোর্টে সে প্রসঙ্গও এসেছে। বলা হয়েছে, কমিশনের সদস্যপদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বহুত্ববাদের নীতি মানা হয়নি। সদস্যদের মধ্যে মাত্র একজন মহিলা। বিভিন্ন পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সেগুলি পূরণ করা হচ্ছে না। কমিশন দাবি করেছিল, তাদের ৩৩৯ জন কর্মীর মধ্যে ৯৩ জন মহিলা। কিন্তু এই সংখ্যা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংগঠনটি। ২০২৩ সাল থেকে ভারতের মানবাধিকার কমিশনের কাজের উপর নজরদারি চলছিল। পরপর দু’বছর কোনও গ্রেড দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত অবনমনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#India, #United Nations, #Modi Government, #Human Rights commission, #National Human Rights Commission

আরো দেখুন