খেলা বিভাগে ফিরে যান

কোনওমতে হার বাঁচাল KKR, মাত্র এক রানে জিতে আশা জাগিয়ে রাখল

May 4, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজস্থানকে ১ রানে হারিয়ে নাইটদের প্লে অফে যাওয়ার স্বপ্ন এখনও জিইয়ে রইল। রবিবারের ম্যাচটা ছিল নাইটদের কাছে মরণবাঁচন। হেরে গেলে এবছরের মতো প্লে অফ স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে যেত। রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠস্থানে উঠল কেকেআর।

নাইটদের জয়ে ভূমিকা রাখলেন RR-রা। এই RR-কে ভাবা যেতেই পারে শেষ বেলায় রাসেল-রিঙ্কু ঝড়। আবার শুরুতে রহমানুল্লাহ, রাহানে মিলেও কিন্তু নাইটদের ভালো জায়গায় পৌঁছে দেয়। ভালো খেলেন আরেক ‘আর’ রঘুবংশী। অবশ্য বলতেও হয়, রানা অর্থাৎ হর্ষিত রাআনার ২ উইকেটের কথাও।

এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজিঙ্ক রাহানে। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি কেকেআরের। দ্বিতীয় ওভারে যুধবীর সিংয়ের বলে ১১ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সুনীল নারিন। ঠিক সেখান থেকে আফগানি তারকা গুরবাজের সঙ্গে ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রাহানে। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ছ’ওভারে কেকেআরের স্কোর ১ উইকেটে ৫৬। যখন মনে হচ্ছিল বড় রানের পথে এগোচ্ছেন গুরবাজ, তখনই ছন্দপতন। মহিশা থিকশানার বলে ৩৫ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। কেকেআরের রান তখন ৭.৩ ওভারে ৬৯। নাইট অধিনায়ক রাহানে ফিরলেন ২৬ বলে ৩০ রানে। কলকাতার রান তখন ১২.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১১১।

এরপরেই পাঁচ নম্বরে নামানো হয় ক্যারিবিয়ান ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেলকে। ৪০৬ দিন পর কেকেআর জার্সিতে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। কেবল তাই নয়, ছ’টা বিশাল ছয়ের বিস্ফোরণে তিনি অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫৭ রানে। অঙ্গকৃষ রঘুবংশী করলেন ৩১ বলে ৪৪। শেষের দিকে রিঙ্কু সিং দু’টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬ বলে অপরাজিত থাকলেন ১৯ রানে।

কেকেআরের ইনিংস শেষ হওয়ার পরও জানা ছিল না, ইডেনে আর একটা ঝড় উঠবে। তবে সেই ঝড় বৈভবের নয়, এল রিয়ানের ব্যাট থেকে। রাসেলের মতো রাজস্থানের অধিনায়কও তো মরসুম জুড়ে শুধু সমালোচিতই হয়েছেন। না ছিল ব্যাট হাতে রান, না করেছেন বোলিং। সঞ্জু স্যামসনের বদলে অধিনায়কের দায়িত্বই শুধু পালন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগও। বাবা অসম ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে রিয়ান বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
তবে প্রতিভা থাকলে তা সহজে বিনাশ হয় না। দলের বিপদের সময় একাই কুম্ভ হয়ে দাঁড়ালেন রিয়ান। ইডেন দেখতে চেয়েছিলেন বৈভবের মারকাটারি ইনিংস। রিয়ান বুঝিয়ে দিলেন, তিনিও ফুরিয়ে যাননি। শুরু থেকে চালিয়ে খেলেছেন। যে মইন আলি দু’ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়েছিলেন, সেই বোলারকেই টানা পাঁচটি ছয় মারলেন। পরের ওভারে বরুণ চক্রবর্তীকে আরও একটি। অর্থাৎ টানা ছ’টি ছয়।

তবে যে রোগ গোটা মরসুমে ভুগিয়েছে রাজস্থানকে, সেই রোগে আরও এক বার আক্রান্ত হল। শেষ দিকে এসে দিশাহীন ব্যাটিং। অতীতে দু’টি ম্যাচে ৬ বলে ৯ রান তুলতে পারেনি রাজস্থান। এ দিন রিয়ান ক্রিজ়েন থাকলে হাসতে হাসতে ম্যাচ জিততে পারত তারা। সেই রিয়ান অকারণে একটি শট তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন।

শেষ ওভারে ২২ রান দরকার ছিল। বৈভবকে চার, ছয়, চার মারেন শুভম দুবে। এক বলে দরকার ছিল তিন। বৈভবের ইয়র্কারে এক রানের বেশি নিতে পারেনি রাজস্থান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata Knight Riders, #ipl 2025, #KKR vs RR

আরো দেখুন