দীঘা জগন্নাথধাম: মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের মধ্যে সংখ্যায় পুরুষদের টেক্কা মহিলাদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এগিয়ে বাংলার মেয়েরা। প্রভু জগন্নাথদেবের মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে। ভিড়ের নিরিখে পুরুষদের রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছেন মহিলা পুণ্যার্থীরা। নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি করতে পূর্ব মেদিনীপুরের ২৮টি থানা থেকে একজন করে লেডি কনস্টেবলকে দীঘায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়ার ১১ব্যাটালিয়ন থেকে ৫০জনের বাহিনী দীঘায় আনা হচ্ছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে।
১১৬বি জাতীয় সড়ক বরাবর মন্দিরের ১, ২ ও ৩ নম্বর গেট ইমার্জেন্সি কারণ ছাড়া বন্ধ রাখা হচ্ছে। জাতীয় সড়কের ধারে পুণ্যার্থীদের লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ৬ নম্বর গেট দিয়ে তাঁদের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। ৭ নম্বর গেট দিয়ে পুণ্যার্থীরা মন্দির থেকে বাইরে বের হয়ে আসছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, জগন্নাথ মন্দিরে ভিড় বাড়ছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
সকাল ৬টায় মন্দিরের গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। রাত ৯টায় গেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সকাল হতেই পুণ্যার্থীদের লাইন পড়ে যাচ্ছে। বিকেলে প্রতিদিন ৩০-৪০ হাজার পুণ্যার্থী আসছেন। মহিলা পুণ্যার্থীদের উপস্থিতিও নজরকাড়া।
জেলার বিভিন্ন থানার দু’জন করে ওসি প্রতিদিন ডিউটিতে থাকছেন। মন্দিরের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ফোর্সের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে জেলা পুলিশ। জেলার সাতটি থানা থেকে ২২৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দীঘায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁরা তিনটি শিফ্টে ডিউটি করবেন। পার্কিং, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহ নানা কাজে সিভিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। শনিবারই পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জেলার সব থানার আইসি ও ওসিদের একজন করে লেডি কনস্টেবলের নাম পাঠাতে নির্দেশ দেন। ২৮জন রবিবার বিকেল ৩ টের মধ্যে দীঘা থানায় পৌঁছে যান।
অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দির দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে। তারপর থেকে জগন্নাথভক্তদের ভিড় কয়েকগুণ বেড়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকেই পুণ্যার্থীদের উন্মাদনা তুঙ্গে। লাইন দিয়ে তাঁরা মন্দির দর্শন করছেন। দিন দিন ভিড় বাড়ছে। ভিড়ের জন্যই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।