মুর্শিদাবাদে মমতা: দলের সাংসদ, বিধায়কদের কী বার্তা তৃণমূল নেত্রীর?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে ফের না হয়, তা নিশ্চিত করতে সোমবার বহরমপুরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে সাংসদ, বিধায়ক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ৩৫ মিনিট ধরে বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন, জেলায় এত ঝামেলা হয়, কী করছেন তাঁরা? প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আরও সক্রিয় হওয়া দরকার ছিল। বিধায়ক, সাংসদদের বলেন, ভোটে জিতলাম আর বসে গেলাম, সেটা হবে না। এলাকায় যান এবং মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান।
সোমবারের বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জেলার কাজকর্ম ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য প্রায় ১৫ জনের একটি কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন। কমিটিতে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের রাখার কথা বলেন।
সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ বহরমপুর ব্যারাক স্কয়ার ময়দানের হেলিপ্যাডে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরেই চলে যান সার্কিট হাউসে। মিনিট দশকের মধ্যেই সার্কিট হাউস থেকে তাঁর কনভয় ছোটে ৬০০ মিটার দূরে জেলা প্রশাসনিক ভবনে। প্রশাসনিক ভবনের গেটে তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। মুর্শিদাবাদ জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির তৈরি নতুন ভবনে যান। সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন। ততক্ষণে দলীয় নেতা-কর্মীরা খবর পেয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য কোথায়। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ, জেলার একাধিক বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে তিনি সেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর কয়েকজন নেতার নামে অভিযোগ করতে শুরু করলে তাঁকে থামতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দেন।
রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা বিধায়ক আখরুজ্জামান বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সঙ্গে আরও জনসংযোগ বাড়াতে হবে। মিলেমিশে কাজ করতে হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই দিকেও কড়া নজর রাখার কথা বলেছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, জেলায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে মেশার কথা বলেছেন দিদি। সকলস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে।