কেমন হল এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৭ মে গতকাল প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দাবি অনুযায়ী বিগত ১০ বছরের মধ্যে সেরা ফলাফল হয়েছে এই বছরই। ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত অতিমারি আবহ বাদে চলতি বছরে পাশের হার সর্বাধিক (৯০.৭৯ শতাংশ)। ২০২৪-এ পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশ।
২০২৬ সাল থেকে নতুন পদ্ধতিতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার থেকে সেমেস্টার পদ্ধতিতে বছরে দু’বার পরীক্ষা হবে।
ছাত্রছাত্রীদের পাশের হার:
এবছর ছেলেদের পাশের হার ৯৩% এবং মেয়েদের সার্বিক পাশের হার ৮৮.৮৮%.
৬০% পেয়েছে ৪৫.৩৮% পড়ুয়া
৭০% পেয়েছে ২৫.৬৬% পড়ুয়া
৭৫% পেয়েছে ১৬.৯৯% পড়ুয়া
৮০% পেয়েছে ১০.২৫% পড়ুয়া
৯০% পেয়েছে ১.৭% পড়ুয়া
এবছর প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেও শেষ দশ বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশের ঘরে সর্বাধিক পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছেন।
প্রথম হয়েছে বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭।
দ্বিতীয় হয়েছে কোচবিহারের তুষার দেবনাথ, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।
তৃতীয় হয়েছে আরামবাগের রাজর্ষি অধিকারী, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫।
বাঁকুড়ার সৃজিতা চতুর্থ হয়েছে, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ৭২ জন পড়ুয়া। এদের মধ্যে ২০ জনই ছাত্রী, যার মধ্যে একজন কলকাতার।
গ্রাম না শহর কে এগিয়ে:
৯০% কিংবা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, গ্রামাঞ্চলে এমন পড়ুয়ার সংখ্যা ১.০৪%, শহর বা শহরতলীর ক্ষেত্রে ওই সংখ্যা ০.৬৬%।
৬০% নম্বর পেয়েছে গ্রামাঞ্চলের ৩১.০৪% পড়ুয়া, যেখানে মাত্র ১৪.৩৩% শহরের পড়ুয়া ওই নম্বর পেয়েছেন।
এই তালিকা অনুযায়ী, সার্বিক পাশের হারের নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৫.৭৪%), উত্তর ২৪ পরগনা (৯৩.৫৩%)-র পর জায়গা পেয়েছে কলকাতা (৯৩.৪৩%)।
ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে গ্রাম:
৯০% নম্বর পেয়েছেন, গ্রামাঞ্চলের এমন ছাত্রীদের সংখ্যা ১.০৬%, শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ০.৬%।
৬০%-র বেশি নম্বর পেয়েছেন গ্রামাঞ্চলের ৩২.৪৮% ছাত্রীরা, যেখানে শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে এই হার ১৪.৭৭%।
জেলাভিত্তিক পাশের হার:
সবথেকে বেশি পাশের হার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৯৫. ৭৪%, দ্বিতীয় উত্তর ২৪ পরগনা ৯৩.৫৩%, তৃতীয় স্থানে কলকাতা ৯৩.৪৩%।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাত্রীদের স্কুলমুখী করতে এবং বাল্যবিবাহ ঠেকাতে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজসাথী সহ যে বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে, তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার ফলাফলে। এছাড়াও স্কুল স্তরে বিভিন্ন নতুন বিষয়ে পঠনপাঠন, থিয়োরির পাশাপাশি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস, বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, নানাবিধ কর্মসূচির সুবিধা পেয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার আগ্রহও বাড়ছে।
কলকাতায় সম্ভবত প্রথম এবং রাজ্যে অষ্টম পাঠ ভবনের তথাগত রায়।