আজ সর্বদল বৈঠকে অনুপস্থিত মোদী, উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কাশ্মীরের পহেলগাঁওএ বৈসরণ উপত্যকার ওপর জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার মাঝরাতে পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালিয়ে একাধিক জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সেখান থেকে সোজা রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এরপরই আজ সকালে সর্বদল বৈঠক ডাকেন তিনি। সকাল ১১টায় সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে হয় এই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, সঞ্জয় সিং সহ বিরোধী নেতারা। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না নরেন্দ্র মোদী। তবে সর্বদল বৈঠকের আগে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেখা করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে।
কংগ্রেস থেকে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিএমকে-র টি আর বালু বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতাদের মধ্যে ছিলেন। অন্যান্য বিরোধী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঞ্জয় রাউত, এনসিপি (এসপি)-র সুপ্রিয়া সুলে, বিজেডি-র সস্মিত পাত্র এবং সিপিআই(এম)-র জন ব্রিটাস।
তৃণমূলের তরফে বৈঠকে উপস্থিত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ঢোকার আগে সংবাদিকদের তিনি জানান, “আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে স্যালুট জানাই। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ১৪০ কোটি ভারতীয় আজ গর্বিত বোধ করছেন। আমরা আজ সরকারের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করব। অপারেশন সিন্দুর ছিল নিখুঁত অভিযান। সারা বিশ্বজুড়ে আমাদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্লোগান তুলতে হবে।”
বৈঠকে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুরে’ ১০০-রও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অভিযানের খুঁটিনাটিও ব্যাখ্যা কর হয়েছে বৈঠকে।সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঐক্যবদ্ধ থাকার’ বার্তাও বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন।