যুদ্ধ আবহে অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা শক্ত হাতে দমন করবে রাজ্য, আজ নবান্নে মমতার বৈঠক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সীমান্তে যুদ্ধের আবহ, ভারত-পাক সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে যেকোনও সময় দুই দেশের মধ্যে লড়াই আরম্ভ হতে পারে। যুদ্ধ মানেই অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা। যুদ্ধের আবহে অসাধু ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়ে, বাড়তি মুনাফা ঘরে তুলতে পারে। তা যাতে না-হয়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি চালাবে রাজ্য সরকার। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নবান্নে এই বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বৈঠকের কথা, বুধবার নবান্নে খোদ মুখ্যমন্ত্রীই জানান। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যে একটি টাস্ক ফোর্স রয়েছে। আজকের বৈঠকে টাস্ক ফোর্স সদস্যদের যোগ দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডাকা হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষকর্তারা থাকবেন।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মতে, খাদ্যসামগ্রীর দাম মোটামুটি স্থিতিশীল। সূত্রের খবর, সবজি-আনাজ ছাড়াও ডাল, চিনি, তেল মশলা পর্যাপ্ত মজুত আছে। গরমের বিভিন্ন মরশুমি সবজির জোগান আছে। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের হিমঘরগুলিতে ৭৪ লক্ষ টনের কিছু বেশি আলু মজুত হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড বলেই মত ব্যবসায়ীদের। হিমঘরে মজুত আলু ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। হিমঘরে বেশি পরিমাণে আলু থাকার জন্য এবার আর বেশি দামে আলু বিক্রি করা যাবে না, মানছে ব্যবসায়ী মহল। হিমঘর থেকে ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে সাধারণ জ্যোতি আলু বেরচ্ছে। কলকাতার খুচরো বাজারে তা কমবেশি ২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজ্যে এবার পেঁয়াজের ব্যাপক ফলন হওয়ায় ২০ টাকা কেজি বা তার কম দামে পেঁয়াজ খুচরো বাজারে বিক্রি হয়েছে। তবে খোলবাজারে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। সূত্রের খবর, চালের দাম নিয়ে নজরদারি চালাবে টাস্ক ফোর্স।