আজ ভারত-পাক DGMO বৈঠক, কোন শর্তে, কেন যুদ্ধবিরতি? উত্তরের অপেক্ষায় দেশ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সংঘাত আপাতত থেমেছে কিন্তু যুদ্ধবিরতি কেন? হঠাৎ করে আমেরিকা কেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের অবসানের ঘোষণা করল? দেশবাসীর মনে ঘুরপাক খাচ্ছে এই একটি প্রশ্ন। কতদিন থাকবে যুদ্ধবিরতি? কোন শর্তে? আজ, সোমবার দুপুর ১২টায় ভারত ও পাকিস্তান; দুই দেশের দুই ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস আলোচনায় বসবেন। যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ ঠিক হবে সেখানেই।
কোনও চুক্তি কি হবে? শর্ত কী কী থাকবে? দেশ অধীর আগ্রহে জবাবের অপেক্ষা করছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ভারত সরকার কোন পরিস্থিতিতে, কেন মেনে নিয়েছে এবং এ পর্যন্ত কী ঘটেছে তা জানাতে হবে সরকারকে। সংসদের বিশেষ অধিবেশনও ডাকার দাবি করা হয়েছে। ভারতের ঘোষিত অবস্থান, তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় কাশ্মীর সহ কোনও ইস্যুতেই মেনে নেবে না দেশ। ভারতের অবস্থান কি বদলাচ্ছে?
ভারত ও পাকিস্তানের আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেন ঘোষণা করে দিলেন যে, দুই দেশ যুদ্ধ পরিস্থিতি থামাতে রাজি হয়েছে? ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমেরিকার মধ্যস্থতাতে সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হল। রবিবারও একই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রবিবার বিকেলে ভারত সরকার জানিয়েছে, আমেরিকার মধ্যস্থতা মেনে যুদ্ধবিরতি করা হয়েছে—এই দাবি নাকি ভিত্তিহীন। পাকিস্তানই ভারতের প্রত্যাঘাতে কোণঠাসা হয়ে সংঘাত থামাতে আবেদন করে বলে জানা যাচ্ছে। এরপর মার্কিন বিদেশ সচিব এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতকে বলেছেন, ‘পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছে। ভারত কী চাইছে?’ ভারত সরকার আমেরিকাকে জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি কোনও নতুন আগ্রাসন না দেখায় তাহলে ভারতও সংযত থাকবে। পাকিস্তান সামান্যতম আক্রমণাত্মক হলেই ভারত এর থেকেও কঠোর জবাব দেবে। এরপরই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ভারত পাকিস্তানের আটটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। নুর খান এয়ারবেসেও হামলা চলে। এই এয়ারবেসের অদূরেই রয়েছে পাক পরমাণু স্টোরেজ ফেসিলিটি। পাকিস্তান আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আতঙ্কেই ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠক ডাকেন পাক প্রধানমন্ত্রী। শঙ্কিত আমেরিকা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। পাকিস্তানকে আমেরিকা নির্দেশ দেয়, ভারতের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমেরিকার নির্দেশ অনুযায়ী দুপুর ১টায় পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতের কাছে বৈঠকের সময় চান। দুপুর ৩টে ৩৫-এ দুই ডিজিএমও ফোনে কথা বলেন। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রত্যাঘাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই ৪০ পাক সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের দুই ডিজিএমও’র বৈঠক। আলোচনার পরই হয়ত যুদ্ধবিরতির কারণ জানা যাবে।