Breaking তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

জ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অবশেষে জল্পনার অবসান। তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জন বার্লা। বিগত লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে বসে গিয়েছিলেন তিনি। দলবদলের জল্পনাও ছিল। মাদারিহাট উপনির্বাচনে ফের তাঁর নিষ্ক্রিয়তা টের পাওয়া গিয়েছে।
তাঁর বোন মেরিনা কুজুর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আগেই। মুখ্যমন্ত্রী বিগত উত্তরবঙ্গ সফরে প্রশাসনিক সভার মঞ্চে দেখা দিয়েছিল জন বার্লাকে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের চার দিন আগেই তিনি জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
জন বার্লার যোগদান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে পদ্ম শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরাল। বৃহস্পতিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি।
উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতার এই দলত্যাগ উত্তরবঙ্গের ভোটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বার্লাকে রাজ্য কমিটির পাশাপাশি তাঁকে চা বাগানেরও দায়িত্ব দেবেন।
প্রথমেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। কেন তিনি হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ছ-সাত মাস আগে থেকেই কথাবার্তা চলছিল। দিদিও মাঝে ফোন করেছিলেন। কাজ করার কথা বলেছিলেন।’
প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, তিনি কাজ করতে চেয়েছিলেন চা বাগানের জন্য। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পরেও, তিনি যেভাবে কাজ করতে চাইতেন, বাধা মিলত সব জায়গায়। তিনি প্রায় ১৬০ কোটি টাকা দিয়ে হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি নিশানা করে তিনি বলেন, নিজের দলের লোকেরাই তাঁকে হাসপাতালের কাজে বাধা দিয়েছে। ‘জনতা আমাকে ভোট দিয়ে পাঠিয়েছিল কাজ করার জন্য। কিন্তু কাজ করতে পারতাম না। কেন করব ওই দল, যেখানে আমি কাজই করতে পারব না?’
চা বাগানের শ্রমিকরা ২০১৪ থেকে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে কিন্তু পরিবর্তে কি পেয়েছেন তারা এই প্রশ্নও করেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। কেন্দ্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন জন বার্লা।