পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

বর্ধমানের রাজার নামে নৈবেদ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মা যোগাদ্যার পুজো

May 16, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলকোটে সতীপীঠ যোগদ্যা। কথিত আছে ক্ষীরগ্রামে সতীদেহের ডান পায়ের আঙুল পড়েছিল। সারাবছর যোগাদ্যা মাকে মন্দিরের পাশেই ক্ষীরদিঘিতে ডুবিয়ে রাখা হয়। বৈশাখ মাসের সংক্রান্তিতে মাকে জল থেকে তুলে মূল মন্দিরে রেখে চলে পুজো। তারপর আবার ওইদিন রাতেই মাকে জলে দিয়ে দেওয়া হয়। এটাই রীতি। এছাড়াও বছরের বিশেষ কিছুদিন মা যোগাদ্যাকে জল থেকে তুলে পুকুর পারেই পুজো করা হয়। তবে সেটা ভক্তদের দেখতে দেওয়া হয় না।

বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে মা যোগাদ্যার পুজো। দেবীকে দেখতে এদিন ভক্তের ঢল নেমেছে। গ্রামজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসব। মা যোগাদ্যা পুজো কমিটির পক্ষে বরুণ চক্রবর্তী বলেন, প্রথমে বর্ধমানের রাজার নামে নৈবেদ্য দিয়ে পুজো হয়। তারপর বাকি পুজো শুরু হয়।

এদিন ভোর থেকেই কাতারে কাতারে ভক্ত আসেন মাকে দেখতে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মা যোগাদ্যাকে দেখতে ভক্তদের সমাগম হয়েছে। মন্দির চত্বরে গেস্টহাউসগুলি উপচে পড়েছে। কলকাতা থেকেও প্রচুর ভক্ত এসেছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিস কর্মী মোতায়েন রয়েছে।

মা যোগ্যাদ্যা দেবী মহামায়ার অন্য এক রূপ। মার্কণ্ডেয় পুরাণে এই দেবীর বর্ণনা পাওয়া যায়। অবধূতা রামায়ণ অনুসারে মহাকালী বা ভদ্রকালী অর্থাৎ দেবী মহামায়ার সেবক মহীরাবণ, অবতার রাম ও লক্ষ্মণকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ছলনায় পাতালে নিয়ে যান।

মহাকালীর সামনে বলিদান দেওয়ার সময় মহীরাবণকেই বধ করে লক্ষণ। পরে দেবী মহামায়া সহ সেবক হনুমান রাম ও লক্ষ্মণকে উদ্ধার করে তিন দিন ধরে লাগাতার পাতাল পথে এই ক্ষীরগ্রামে ওঠেন। অবতার রাম ও লক্ষ্মণ রাঢ় অঞ্চলে থাকতে পারেননি। কিন্তু দেবী মহামায়া বা মহাকালী বা ভদ্রকালী যোগ্যাদ্যা রূপে রাঢ় বঙ্গে পূজিত হতে শুরু করে। এদিকে পুজো উপলক্ষ্যে প্রচুর মেলা, খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#rituals, #naibedyo, #ma jogyadar, #Bardhaman

আরো দেখুন