রাজ্যকে ২৫% বকেয়া DA দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা দিয়ে দিতে নির্দেশ দিলো শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগস্ট মাসে।
আজ (১৬ মে,শুক্রবার) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই রায় জানিয়েছে।
বর্তমানে বাংলায় সরকারি কর্মচারীরা ১৮% হারে ডিএ পান। কয়েক মাস আগে বাজেট বক্তৃতার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিলেন। সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হয় ১ এপ্রিল থেকে। কেন্দ্রীয় কর্মীরা ৫৫ শতাংশ হারে ডিএ পান। অতএব, এখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘভাতার ফারাক এখনও ৩৭ শতাংশ।
বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ধাপে ধাপে বকেয়া ডিএ আমরা দিয়ে দেব, কিন্তু আমাদের সেজন্য একটু সময় দরকার, কারণ, রাজ্যের উপর এই মুহূর্তে অনেক আর্থিক বোঝা রয়েছে। বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বহু অনুরোধেও কাজ হচ্ছে না। ফলে রাজ্যকে নিজের উদ্যোগে একাধিক প্রকল্পে টাকা দিতে হচ্ছে। এই একই প্রসঙ্গ আজ আদালতে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিও তুলে ধরেন।
মামলার শুরুতেই এদিন বিচারপতি সঞ্জয় করোল রাজ্যের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি আটকে। এবার ৫০ শতাংশ ডিএ মিডিয়ে দিন।’ এর উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘৫০ শতাংশ ডিএ মেটানো সম্ভব নয়। তাতে আর্থিকভাবে অসুবিধায় পড়বে রাজ্য। রাজ্যকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে।” বিচারপতি পালটা বলেন, “আপনাদেরই কর্মচারি। অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রথম বার রাজ্যের ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। ২০২৪ সালের ১ লা ডিসেম্বরের পর থেকে বারবার শুনানি পিছিয়েছে। ১৮ বার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে আজ মামলাটি ওঠে শীর্ষ আদালতে।
আদালত জানায়, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে কোনও ভুল নেই। আপাতত ২৫% দিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে বাকিটা দেখা যাবে। কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। কিন্তু হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।