মমতার উত্তরবঙ্গ সফরে আরও ‘খুলবে তৃণমূলের দরজা’? নজরে পদ্মের সাংসদ, বিধায়ক?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজনীতি নাকি সম্ভাবনার শিল্প। ২০২০ সাল থেকে প্লাবনের মতো দলবদল দেখেছে বঙ্গ রাজনীতি। ময়দানের দলবদল দেখে অভ্যস্ত বাঙালি এখন নিয়মিত নেতাদের রাজনৈতিক জার্সি বদল দেখছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে নাগাড়ে বিজেপি ছাড়ছেন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা। ডজন খানেক বিধায়ক ফুল বদলে এখন জোড়াফুলে। শোনা যাচ্ছিল, বাংলার প্রাক্তন দুই গেরুয়া সাংসদ নাকি দিল্লিতে তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তাদের মধ্যে একজন, জন বার্লা, বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ১৫ মে জোড়াফুল শিবিরে ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাংলা থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন আঠারো জন সাংসদ, ২০২৪-এ সংখ্যাটা নেমে আসে ১২-তে! সূত্রের খবর, প্রাক্তন এবং বর্তমান বিজেপি সাংসদদের মধ্যে থেকে আরও একজন-দু’জন তলে তলে ফুল বদলানোর প্রস্তুতি সারছেন।
দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিন সেখানে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের যাওয়া এবং পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে কার্যত সুনামি শুরু হয়। বিষোদগার করছেন দলেরই একের পর এক নেতা। কিন্তু এই অবস্থাতেও বিজেপি’র অনেকেই আবার দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রশংসা করছেন। যেমন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। জগন্নাথ মন্দির করে ভাল হয়েছে। গোটা বিশ্ব থেকে মানুষ আসবেন। রাজ্যে অনেক পর্যটক আসবেন। বিদেশিরা জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে আসবেন। ফলে আমাদের পর্যটনে আয় বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। দিঘা গেলে আমিও নিশ্চয়ই যাব মন্দিরে।
ফলে দিলীপ ঘোষ একা নন জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিজেপির অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। বিধায়ক অসীম সরকার , দলের মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্ররাও দিলীপের জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কদের তালিকায় আছেন দার্জিলিং জেলার শংকর ঘোষও।
তবে খগেন মুর্মুর বক্তব্য একটি জল্পনা ফের উস্কে দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন সূত্র ইদানিং দাবি করছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদ তাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন। জন বার্লা যোগ দিয়েও ফেলেছেন। তাহলে সেই তালিকায় কি এবার খগেন মুর্মু রয়েছেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আগামী সপ্তাহেই তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। তখন কি তৃণমূলের দরজা আরও খুলবে, নাকি যোগদানের মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ? নজর থাকবে সেদিকেই।