কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ট্যাংরা কাণ্ড: প্রসূনের পর দে বাড়ির বড় ছেলে প্রণয়ও গ্রেপ্তার পুলিশের হাতে

May 18, 2025 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: হাড়হিম করা ট্যাংরা কাণ্ডের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল মহানগর। এবার ট্যাংরা কাণ্ডে দে বাড়ির বড় ছেলে প্রণয় দে-কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার এনআরএস হাসপাতাল থেকে প্রণয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার প্রণয়কে ট্যাংরার বাড়িতে নিয়ে গিয়েও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক প্রণয়কে ৩০ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারকে তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগেই প্রণয়ের ভাই প্রসূন দে-কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাঁকে আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছিল। তারপর প্রসূনকে হেপাজতে নেয় পুলিশ। এতদিন প্রণয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে অভিষিক্তার মোড়ে মেট্রোরেলের একটি স্তম্ভে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন প্রণয়, প্রসূন ও প্রণয়ের পুত্র প্রতীপ গুরুতর আহত হন। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করানো হয়। প্রণয়, প্রসূন পুলিশকে জানায়, ট্যাংরার দে বাড়িতে পড়ে রয়েছে পরিবারের তিন মহিলার দেহ। ট্যাংরার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রণয়ের স্ত্রী রোমি দে, প্রসূনের স্ত্রী সুদেষ্ণা দে এবং কন্যা প্রিয়ম্বদা দে-র দেহ।

প্রসূন ও প্রণয় দাবি ছিল, আর্থিক সঙ্কটের জেরে তাঁরা সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সকলে মিলে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন তাঁরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, সুদেষ্ণা ও রোমির মৃত্যু হয় হাত এবং গলা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে। কিশোরী প্রিয়ম্বদার মৃত্যু হয় বিষক্রিয়ায়। তদন্তকারীদের অনুমান, ঘুমন্ত অবস্থায় সুদেষ্ণা এবং রোমির হাতের শিরা এবং গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। প্রতীপ পুলিশকে জানিয়েছিল, কাকা প্রসূন ওই দু’জনকে খুন করেছেন। প্রসূনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার প্রণয়ও পুলিশের হাতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Pranay Dey, #dey bari, #arrest, #Tangra Case, #Prasun Dey

আরো দেখুন