কলকাতায় পাকিস্তানি পতাকার ক্রেতা-বিক্রেতা কারা? নজরদারির নির্দেশ কলকাতার Police Commissioner-র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতার বুকে কারা পাকিস্তানি পতাকা তৈরি করছে এবং কারা কিনছে তাদের উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। শনিবার বডিগার্ড মাসিক ক্রাইম মিটিং ছিল। সেখানেই থানাগুলিকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। পাকিস্তানি পতাকাকে হাতিয়ার করে সমাজে ঘৃণা ও অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল বনগাঁয়। যদিও চক্রান্ত রুখে দেয় রাজ্য পুলিশ। এখনও ভারত-পাক উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি, এই আবহে থানাগুলিকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিলেন নগরপাল।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের পতাকাকে অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে বনগাঁয় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কলকাতাতেও এমন চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশ প্রশাসনের। কে বা কারা পাকিস্তানের পতাকা কেনাবেচা করছে তা চিহ্নিত করতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মনোজ ভার্মা। যাঁরা পাকিস্তানি পতাকা কিনছেন তাঁরা কী জন্য কিনছেন, সেগুলি নিয়ে কী করবেন, সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিতে হবে পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়িক লাভের আশায় ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তানি পতাকা বিক্রির অভিযোগ ওঠে। ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি দেন তাঁর। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, একাধিক অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট পাকিস্তানি পতাকা-সহ শত্রু দেশের নানা সামগ্রী বিক্রি করছে। অবিলম্বে জিনিসপত্র বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রক পদক্ষেপ করে। আমাজন, ফ্লিপকার্ট, ইউবাই ইন্ডিয়া, দ্য ফ্ল্যাগ কোম্পানি, দ্য ফ্ল্যাগ কর্পোরেশনের মতো একাধিক ই-কমার্স সাইটগুলিকে কেন্দ্রের তরফে এই মর্মে নোটিশ পাঠানো হয়। যত দ্রুত সম্ভব পতাকা বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় নোটিশে।