শিক্ষকদের থেকে সম্মান, সৌজন্যতা প্রত্যাশিত: উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১:০০: আজ, সোমবার শিলিগুড়িতে দীনবন্ধু মঞ্চে আয়োজিত হচ্ছে বিজনেস সামিট। আজই উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সামিটে ইথানল কারখানা, মাখনা, ভুট্টা প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, শিল্পতালুক সহ কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব পেশ হতে পারে। শিল্প স্থাপন ও কর্মসংস্থান নিয়ে কী বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই তাকিয়ে উত্তরবঙ্গ।
দীর্ঘদিন ধরে উত্তরবঙ্গে কৃষি নির্ভর শিল্প স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছ’বছর আগে দার্জিলিংয়ে বিজনেস সামিটে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সমতলে বিজনেস সামিট। আজ, কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে দীনবন্ধু মঞ্চে বিজনেস সামিটে যোগ দেবেন। এমএসএমই দপ্তর এই সামিটের আয়োজক। রবিবার জেলা প্রশাসন ও বণিক মহলকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেছে এমএসএমই দপ্তর। স্নিফার ডগ নিয়ে দীনবন্ধু মঞ্চ চত্বর সহ বিভিন্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে শিল্পের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বামফ্রন্ট সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনে জোয়ার এসেছে। জমি, ফায়ার লাইসেন্স সহ শিল্প স্থাপনে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নিয়মিত ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটির মিটিং হয়। পাট, ভুট্টা, আসবাব, ফল প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতি শিল্প স্থাপন হচ্ছে।
কোচবিহার থেকে মালদহ পর্যন্ত আট জেলার উদ্যোগপতিরা বিজনেস মিটে থাকবেন। সূত্রের খবর, মঞ্চে ৪০ জন উদ্যোগপতি থাকবেন। হোটেল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মার্কেট সহ শপিংমল, ইথানল কারখানা, ভুট্টা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, চার থেকে পাঁচটি শিল্পতালুক তৈরির প্রস্তাব পেশ হবে। ক্ষুদ্র শিল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা থাকছে। এছাড়াও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক হাজার লোকের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
আজ উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমরা বিদেশনীতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রের পক্ষে। কেন্দ্রের উচিত ছিল আমাদের সাথে, সব বিরোধী দলগুলির কথা বলা, আমাদের দলকে জানানো। কেন্দ্র প্রতিনিধির নাম ঠিক করতে পারে না। দলকে জানালে আমরা নাম পাঠাতাম।”
চাকরিহারাদের বার্তা:
“শিক্ষকদের থেকে সৌজন্য প্রত্যাশিত। আন্দোলকারীদের বিপক্ষে আমি নই. আমরা রিভিউ পিটিশন ফাইল করেছি, আমাদের আইন মেনে চলছে হয়, যদি সেটা কোর্ট মেনে নেয় ভালো কথা। কোর্টের সিদ্ধান্ত মানতে আমরা বাধ্য। এখনও কারো বেতন বন্ধ হয়নি। গ্রূপ সি, ডি যারা টাকা পাবে না তাদের জন্য স্কিম করে টাকা দেওয়া হচ্ছে।
যারা চাকরি খেয়েছেন তারাই এখন উস্কানি দিচ্ছে। আমাদের জন্য চাকরি যায়নি। নাটের গুরুরা আজ স্বার্থরক্ষার গুরু হলে আমার আপত্তি আছে. শিক্ষকদের উচিত ছিল রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা রাখা। আমি নিজেও ওদের সাথে বৈঠক করেছি। শিক্ষকদের থেকে আমরা মিনিমাম সম্মান, সৌজন্যতা প্রত্যাশা করি. রাজনীতির ঊর্দ্ধে থেকে তারা কাজ করুন।
কাউকে আটকে রাখা যায় না জোর করে. রাস্তা অবরোধ করে মানুষের ক্ষতি করা যাবে না। আন্দোলনকারীদের মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা কম, বাইরের লোক বেশি। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে নেই, এটা করাও একটা লক্ষ্মণ রেখা আছে, আমার যেমন কাউকে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই, আপনাদেরও নেই। আর কোন রাজনৈতিক দল যদি জল ঘোলা করেন, তাদের বলবো মামলা তা আপনারাই করেছিলেন কোর্টে।”