গরমে রোজ ঢেঁড়শের সবজি খেলে কী হয়, জানেন?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সারা বছরই বাজারে ঢেঁড়শ পাওয়া যায়। গরমে যদিও এটি বাজারে বেশি নজরে পড়ে। বাজারে গেলেই নানান রকম শাক আর সবজির ভিড়ে ঢ্যাঁড়স আপনার চোখে পড়বেই। আমাদের অতিপরিচিত সবজিটির ইংরেজি নাম ওকরা হলেও একে অনেকেই লেডিস ফিঙ্গারও বলে থাকেন। দক্ষিণ এশীয় দেশে ঢ্যাঁড়সকে অনেকে ভেন্ডি বা ভিন্ডি বলেও চেনেন। ঢ্যাঁড়স বা ভেন্ডি যে নামেই ডাকা হোক না কেন, অতি সাধারণ সবজিটি যে অসাধারণ পুষ্টিগুণের আধার, সে কথা আমরা কজন জানি?
ঢ্যাঁড়সে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খেলে তা নানাভাবে আমাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
ঢ্যাঁড়সে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ ওয়ান, টাইপ টু এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ঢ্যাঁড়স কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
ঢ্যাঁড়সে রয়েছে পলিফেনলের মতো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, রয়েছে ভিটামিন সি। এগুলো আমাদের কোষের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র্যা ডিক্যালকে প্রতিহত করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে লেকটিন নামের প্রোটিন, যা মানবদেহে ক্যানসার সেল বেড়ে উঠতে বাধা দেয়।
ঢ্যাঁড়সের ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে উপস্থিত বিভিন্ন খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি ও দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে।
ঢ্যাঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা ভাব বজায় থাকে এবং খিদে লাগে না। এটি হজমেও দারুণ সহায়ক। তা ছাড়া এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ঢ্যাঁড়স রাখতে পারেন।
ঢ্যাঁড়সে উপস্থিত পলিফেনল রক্ত জমাট বাঁধা এবং ফ্রি র্যাাডিক্যাল ড্যামেজ প্রতিহত করে হৃৎপিণ্ডের জটিলতা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া ঢ্যাঁড়সের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের প্রদাহ কমিয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের বড় শত্রু কোলেস্টেরল। ঢ্যাঁড়সের মিউসিলেজ নামের উপাদানটি হজমের সময় কোলেস্টেরলের সঙ্গে মিশে গিয়ে একে দেহ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।