IPL-এ ঢুকে পড়ল রাজনীতি! ফাইনাল দিদির রাজ্য থেকে সরিয়ে মোদীর রাজ্যে

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৫৩: ইডেন থেকে শেষ পর্যন্ত সরানোই হচ্ছে আইপিএল-এর এই মরশুমের ফাইনাল ম্যাচ। সিএসবি-র যাবতীয় প্রচেষ্টা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগ, ক্রিকেট ভক্তদের বিক্ষোভ- কোনও কিছুই শেষমেশ কাজে এল না। ৩ জুন ফাইনাল হবে অহমদাবাদে। ১ জুন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারও হবে অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। প্রথম কোয়ালিফায়ার এবং এলিমিনেটর হবে পঞ্জাবের মুল্লানপুরের নতুন স্টেডিয়াম। এই ম্যাচ দু’টি হবে যথাক্রমে ২৯ এবং ৩০ মে। বুধবার সমাজমাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আইপিএল।
ভারত-পাক সংঘর্ষের আবহে আইপিএল বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তারপর বোর্ড যে নতুন সূচি দেয়, সেখানে ইডেনের নাম ছিল না। আইপিএলে ৩ জুনের ফাইনাল ও প্লে অফের একটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ইডেনে। আইপিএলের অলিখিত প্রথা হল, টুর্নামেন্ট ফাইনালে যে দু’টো টিম খেলে, পরের বছর সেই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির শহরে টুর্নামেন্টের ‘প্রাইজড’ ম্যাচগুলো ভাগাভাগি হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়ন টিমের শহর পায় পরের বছরের উদ্বোধনী ম্যাচ। সঙ্গে একটা কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনাল। কেকেআর গতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন টিম।
কিন্তু নতুন সূচিতে ইডেনকে ‘বঞ্চিত’ করার নেপথ্যে একটা যুক্তি হচ্ছে, ওই সময় কলকাতায় বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এটাও ঠিক ভারতবর্ষের যে কোনও মাঠের তুলনায় ইডেনের নিকাশি ব্যবস্থা অনেক উন্নত। অঝোর বৃষ্টি হলেও খেলা পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যে শুরু করে দেওয়া সম্ভব।
আসলে গুজরাট হল বিজেপি-র দুই শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের রাজ্য। তার উপর আবার আইসিসি-র চেয়ারম্যান এখন অমিত পুত্র জয় শাহ। বিসিসিআইয়ের যাবতীয় সিদ্ধান্তই এখন বকলমে জয় শাহের অঙুলি হেলনেই নেওয়া হয়ে থাকে। এদিকে, রাজনীতির ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি-র সম্পর্ক সাপে-নেউলে। আর এই কারণেই নাকি ইডেন ছেড়ে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল আয়োজন করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।