COVID – চরিত্র না বদলিয়ে ফের করোনা হানা! JN.1 ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি কী ?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৪০: বিশ্বের নানা প্রান্তে ফের হানা দিচ্ছে COVID ভাইরাস। ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকং, চিন ও থাইল্যান্ড সহ এশিয়ার বহু দেশে হঠাৎ করেই কোভিড সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। এই নতুন সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে করোনার নতুন রূপ JN.1, যা আসলে Omicron-এর উপজাতি। JN.1 হল BA.2.86 (Pirola) স্ট্রেইন থেকে উৎপন্ন একটি রূপ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে সংক্রমিত বা টিকা নেওয়া হলেও JN.1 থেকে প্রতিরোধ করা কঠিন, কারণ এই রূপটি স্পাইক প্রোটিনে এমন রকম পরিবর্তন এনেছে, যা মানুষের শরীরের কোষের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে সংক্রমণ অনেক দ্রুত ছড়ায়।
এটি ২০২৩ সালের শেষ দিকে চিহ্নিত হয়েছিল এবং আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত সহ বেশ কিছু দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। এবার ফের এই রূপ দ্রুত সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে ফিরে এসেছে।
JN.1 ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলি কী?
JN.1 ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা ও ক্লান্তি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ইতিমধ্যেই JN.1-কে Variant of Interest (VOI) হিসেবে ঘোষণা করেছে। যদিও এখনও এটি Omicron-এর তুলনায় বেশি ক্ষতিকর কি না, তার প্রমাণ মেলেনি। সিঙ্গাপুরে ব্যাপক সংক্রমণের জন্য আরও দুটি রূপকে দায়ী করা হয়েছে- LF.7 এবং NB.1.8। এই দুই রূপও Omicron-এর উপজাতি JN.1 থেকেই এসেছে। LF.7 ও NB.1.8 দ্বারা সংক্রমিতদের মধ্যে কনজাঙ্কটিভাইটিস, ডায়রিয়া, স্বাদ ও গন্ধ হারানোর ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে যাঁদের কমর্বিডিটি রয়েছে (ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ইত্যাদি), তাঁদের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে।
তবে আশার কথা, mRNA টিকা JN.1-এর বিরুদ্ধে কিছুটা কার্যকর। টিকা সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে যাঁরা ২০২৩-২৪ সালের বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের সংক্রমণ হলেও জটিলতা তুলনামূলকভাবে কম।