পেহেলগাঁও হামলার একমাস পার, কতজন আততায়ী জঙ্গি নিকেশ?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪৫: গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাঁওয়ের বৈসারনে পাকিস্তানের মদতে হওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার এক মাস পেরিয়ে গেছে। ২৫ জন পর্যটকের মৃত্যুর কারণ যেসব অপরাধীরা তারা এখনও মুক্ত। ভারতের বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী চিরুনী তল্লাশি চালিয়েও তাদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তার কথায়, “আমাদের বিশ্বাস জঙ্গিরা এখনও আশেপাশেই আছে এবং তাদের খুঁজে বের না করা পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না”।
গতকাল জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি প্রশ্ন করেন কিভাবে সীমান্তরেখায় পাকিস্তান ও ভারতের গোলাবর্ষণে এতজন সাধারণ নাগরিক মারা গেল? তারপরও পেহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিরা এখনও পলাতক।
আজ এই একই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা লিখে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কাশ্মীরের পুঞ্চে এবং ২০২৪ সালের অক্টোবরে গগনগীর ও গুলমার্গে যে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল এই সন্ত্রাসবাদীদের নেতৃত্বেই। অর্থাৎ, ১৮ মাস ধরে এরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
আজ সকালে সাংবাদিকদের মুখোমখি হয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, “যুদ্ধ হল, তারপর মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হল। সাংসদদের বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল: সেই ছয় সন্ত্রাসবাদী কোথায়? আমাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যদি আমাদের এই বিষয়ে আমাদের জানান, তাহলে আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। ওই ছয় সন্ত্রাসী নিহত না হলে অপারেশন সিন্দুর সম্পূর্ণ হবে না।”
উল্লেখ্য, আজ সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলার সিংপোরা এলাকায় শুরু হয়েছে এই গুলির লড়াই। কারণ ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে তিন-চার জন জঙ্গির একটি দল। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের ছোড়া গুলির পাল্টা জবাব দিচ্ছেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।