স্টেশন নতুন, ভোগান্তি পুরোনো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯:৩০: অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে বাংলার পানাগড়, কল্যাণী ঘোষপাড়া এবং জয়চণ্ডী পাহাড়-সহ দেশজুড়ে ১০৩টি স্টেশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থাৎ, পুরোনো স্টেশনকেই নতুন মোড়কে ভরে ফিতে কাটবেন প্রধানমন্ত্রী।
আর এই মুহূর্তে উদ্বোধন করবেন যখন বাংলার মানুষ রেল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে। হাওড়া-খড়গপুর শাখায় বাতিল প্রায় ২০০টি ট্রেন। সোমবার থেকে এই লাইনে ট্রেনের সংখ্যা কমেছে । বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ও এক্সপ্রেস ট্রেন। এই সমস্যা কবে মিটবে তার উত্তর নেই রেল কর্তৃপক্ষের কাছেও। উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ড উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। তবে ত্রুটি রয়ে গেছে নন-ইন্টারলকিং সিগন্যালে। এর জেরেই সোমবার থেকেই হাওড়া ডিভিশনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত।
এইসব সমস্যার সমাধান তো দূর, নেতারা এখন কাজ দেখাতে আর নিজেদের কাজের ফিরিস্তি দিতে ব্যস্ত থাকবেন, কারণ বছর ঘুরলেই বাংলায় নির্বাচন। ট্রেন নিয়ে বাংলার মানুষের মুহুর্মুহু ভোগান্তির অন্ত নেই, লোক ট্রেন হোক বা মেট্রো সিগন্যালের কারণে ট্রেন লেট তো বাংলার মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী।
কিন্তু স্টেশন নতুন হলেও মানুষের ভোগান্তি কমছে কী? প্রায় এক দশক ধরে দেশের মানুষ বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন দেখলেও আজ অবধি তা পূর্ণ হয়নি, এবং বন্দে ভারত ট্র্যাকের অভাবে গতি তুলতে পারে না। তার মধ্যে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা তো আছেই – করমণ্ডল থেকে ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে বহু মানুষের। তাই, আগে ভালো ট্রেন পরিষেবা প্রয়োজন না বেসরকারি পাঁচতারা স্টেশন – সেই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।