এবার কি বাংলাদেশে ‘অপারেশন সিঁদুর ২’?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রধান হওয়ার পর থেকে পেশীর ভুয়ো আস্ফালন করা থামাচ্ছেন না মহম্মদ ইউনুস। ভারতের সমান হওয়ার খুব ইচ্ছা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার। কিন্তু সম্মুখসমরে কিছু করতে না পারার ক্ষমতার কথা জেনেই চোরাগোপ্তা পথে ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে চান ইউনুস, যে চক্রান্তে সঙ্গী করতে চান চীনকে।
ভারতের নিরাপত্তার এবং সার্বভৌমত্বে বিঘ্ন ঘটাতে চীনা সহযোগিতায় শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছে যুদ্ধবিমান ঘাঁটি তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন ইউনুস। কিন্তু বিমানঘাঁটি তৈরি করলে যদি তা কোনভাবে ভারতের নিরাপত্তায় বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে সেই ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে ভারত একটি সেকেন্ডও ভাববে না। অপারেশন সিঁদুর ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে ভারতীয় বায়ু শক্তির পরাক্রম।
নতুন করে ঘাঁটি তৈরি না করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি করা এক যুদ্ধবিমানঘাঁটিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার চেষ্টা করছে ঢাকা। বাংলাদেশের লালমণিরহাটে এই বিমানঘাঁটি অবস্থিত, যা তৈরি হয়েছিল ১৯৩১ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ারফোর্সের জন্য, যা ১৯৫৮ সালে আবার বাঁচিয়ে তোলা হয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের কাজের জন্য।
শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্বে লালমণিরহাটের এয়ারবেসে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়, যেখানে বিমান ও মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বিমানঘাঁটি নিয়েই বেশি উদ্যোগী হয়েছেন মহম্মদ ইউনুস।
শিলিগুড়ি করিডর থেকে লালমণিরহাটের বিমানঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ১৩৫ কিলোমিটার। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব এই বিমানঘাঁটির। কিন্তু কোনরকম শাসানীর চেষ্টা করা হলেই যে দ্রুত এবং অতর্কিতে পদক্ষেপ নেবে ভারতীয় বায়ুসেনা, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।