Operation Sindoor-র প্রভাব! মিষ্টিতেও মুছল ‘পাক’ শব্দ

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১০:০০: অপারেশন সিন্দুরের পর দেশপ্রেমের আভাস সর্বত্র! শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, মিষ্টির দোকানগুলিতে একটি প্রতীকী ঝড় বইছে। রাজস্থানের জয়পুরে, মতি পাক, আম পাক এবং গোন্ড পাকের মতো ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সুস্বাদু খাবারগুলির নাম হঠাৎ করে বদলে করা হয়েছে মতি শ্রী, আম শ্রী এবং গোন্ড শ্রীর। পাকিস্তানের “পাক” শব্দটি বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ।
ভারতীয় মিষ্টান্ন জগতের অন্যতম মহীশূর পাক। এক টুকরো মুখে দিলেই বেরিয়ে আসবে ‘ওয়াহ! কেয়া স্বাদ।’ কিন্তু, মিষ্টির নামে ‘পাক’ শব্দেই ঘোরতর আপত্তি। তাই দেশপ্রেমের অনুভূতি তুলে ধরতে নাম পরিবর্তন করতে প্রসিদ্ধ মিষ্টি থেকে ‘পাক’ শব্দটি বাদ দিলেন অনেক মিষ্টি ব্যবসায়ীরাই।
একজন মিষ্টি বিক্রেতা সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, “আমরা আমাদের মিষ্টির নাম থেকে ‘পাক’ শব্দটি সরিয়ে নিয়েছি। ফলে ‘মোতি পাক’-এর নাম বদলে রাখা হয়েছে’মোতি শ্রী’, ‘গন্ড পাক’ নাম ‘গন্ড শ্রী’, ‘মহীশূর পাক’ হয়েছে ‘মহীশূর শ্রী’। যা জেনে খুশি হচ্ছেন অনেক ক্রেতারাও।”
কিন্তু ভাষাবিদ এবং ইতিহাসবিদরা বলছেন, এই মিষ্টি নাম-পরিবর্তন একটি ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। তাঁদের মতে ভারতীয় মিষ্টিতে ‘পাক’ শব্দটির সাথে আধুনিক রাজনৈতিক শব্দ ‘পাকিস্তান’-এর কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে, এটি কন্নড় শব্দ ‘ পাকা ‘ থেকে এসেছে, যার অর্থ মিষ্টি তৈরি বা শরবত, এবং সংস্কৃত ‘ পাকভা’-এর সাথে ব্যুৎপত্তিগত সম্পর্ক রয়েছে – যার অর্থ রান্না করা, পাকা বা বেক করা।
মিষ্টিতে ‘পাক’ শব্দটি কন্নড় ভাষায় মিষ্টির অর্থ বোঝায়। কর্নাটকের মহীশূরের (বর্তমানে মাইসুর) নামানুসারে নামকরণ করা ‘মহীশূর পাক’ শব্দটি আসলে রস তৈরির পদ্ধতিকে বোঝায়। সাধারণত, বেসন, চিনি, ঘি, ক্ষীর এই সমস্ত উপকরণ দিয়ে বিশেষ মণ্ড তৈরি করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এটি রান্না করা হয় বলেই ‘পাক’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।