বাংলা সহায়তা কেন্দ্র-কে জনপ্রিয় করে তুলতে কী উদ্যোগ রাজ্যের?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:০০: ২০২৩-২৪ সালের আগস্টে চালু হয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের আবেদন, বিদ্যুৎ বিল জমা সহ মোট ৩১৬টি পরিষেবা প্রদান করা হয় রাজ্য সরকারের বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ কোটি ৬৭ লক্ষ পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল, স্ট্যাম্প ডিউটি জমা নেওয়ার মতো আর্থিক লেনদেন হয়েছে ৭৭৪ কোটি টাকার।পরিষেবা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের পরিষেবা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। এরপর নড়েচড়ে বসে নবান্ন। খবর মিলেছে, বাংলা সহয়তা কেন্দ্র-কে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে আগামী ১৩ এবং ১৪ আগস্ট বিশেষ কর্মসূচি আয়োজন করতে চলেছে রাজ্য।
বাংলাজুড়ে ১৩ এবং ১৪ আগস্ট ‘দু’দিন, সবার দিন’ শীর্ষক কর্মসূচি পালিত হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুরসভায় প্রচার চালানো হবে। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের ভাল কজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই কারণে তার আগের দু’দিন বিশেষ প্রচার অভিযান চললে, বাড়তি প্রভাবও পড়বে বলে মত কর্তাদের। এই দু’দিন যাঁরা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে যাবেন, তাঁদের বিশেষ ব্যাজ পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই জেলাশাসকদের চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
বাজার-হাটের মতো জনবহুল এলাকায় হোর্ডিং লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তাতে সমস্ত পরিষেবার কথা বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকবে। রাজ্যে ৩,৫৪১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। আরও ১,৪৩১টি কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।
২০২৩ সালে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ‘ই-ওয়ালেট’ ১৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৩০৩ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ একবছরেই ৭৯.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আর্থিক পরিষেবা খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ শতাংশ, কৃষি খাতে বৃদ্ধি ২১ শতাংশ, শিক্ষাক্ষেত্রে লেনদেন বেড়েছে ৫৪ শতাংশ এবং সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ২৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে রাজ্যে বাংলা সহায়তা ১.৩৯ কোটি মানুষও কোনও না কোনও পরিষেবা নিয়েছেন কেন্দ্রগুলিতে (২০২৪ অবধি)