দেশ কারও একার নয়, আমাদের সবার – বিদেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি নিয়ে সাফ কথা মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬: নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা যখন দেশের স্বার্থে কথা বলছেন তখন প্রধানমন্ত্রীর এই নিম্নস্তরের রাজনীতি খুব অবাক করার বিষয়। তাঁর কথায়, “অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ ওঁরা দিয়েছেন। এই নামটাও দেওয়া হয়েছিল রাজনীতির স্বার্থে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা যখন দেশের হয়ে বিদেশে গিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে, দেশের স্বার্থে কাজ করছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই ধরণের কথা খুবই দুঃখজনক। মনে রাখবেন সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরফ থেকে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বিদেশে গিয়ে প্রতিদিন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আর আপনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করছেন! রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছেন?”
তিনি আরও বলেন, “যে সময় বিরোধীরা একজোট হয়ে দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, সেই সময় বাংলায় এসে সেনাবাহিনীকে স্যালুট না জানিয়ে, রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী! এটা একজন প্রধানমন্ত্রীকে শোভা পায় না।”
‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মোদীকে উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর:
“এমনভাবে বলছেন যেন আপনিই সকলের স্বামী। প্রথমে নিজেকে বলতেন চা ওয়ালা, তারপর হলেন পাহারাদার, এখন বলছেন সিঁদুর বেচবেন, সিঁদুর এভাবে বিক্রি করা যায় না, ওটা মা বোনেদের সম্মান। বাংলার মেয়েরা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে, যা অন্য রাজ্যে হয় না। প্রত্যেক মহিলার সিঁদুরের প্রতি সম্মান রয়েছে। তাঁরা স্বামীদের থেকে সিঁদুর নেন। কিন্তু আপনি তো সবার স্বামী নন। আপনি কেন আগে আপনার স্ত্রীকে সিঁদুর দেন না?” একথা বলার পরক্ষণেই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “আমি দুঃখিত। এটা আমার বলার কথা ছিল না। কিন্তু আপনি আমাকে বাধ্য করেছেন মুখ খুলতে”।