জামাই ষষ্ঠীতে বাবাজীবনদের পাতে পড়বে না পদ্মার ইলিশ! তাহলে উপায়?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০০: দুধের স্বাদ ঘোলে থুড়ি পদ্মার হিলসার স্বাদ আরবসাগরের ও মায়ানমারের ইলিশে মেটাবেন জামাইরা! বঙ্গে আসছে না পদ্মার ইলিশ। ফলে এবার জামাইষষ্ঠীতে কপাল মন্দ জামাইদের। জামাইয়ের পাতে পদ্মার ইলিশ পড়বে না। অগত্যা ভরসা বলতে আরবসাগরের ও মায়ানমারের ইলিশ। তা বাজারে কিছু পরিমাণ ঢুকছে। এবার শ্বশুর-শাশুড়িরা সেই ইলিশ দিয়েই জামাইদের আপ্যায়ন করবেন।
স্বাদে, গন্ধে মায়ানমারের ইলিশকে বলে বলে গোল দেবে পদ্মার ইলিশ। দামও কম। মায়ানমারের এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ৬০০ টাকার মতো। এক কেজি-বারোশো ওজনের পদ্মার ইলিশ দু-একটা চোরাপথে বনগাঁর বাজারে ঢুকছে বটে। তার দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। কেজি প্রতি ১৮০০ থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিকোচ্ছে তা। বনগাঁর বাজারে এখনও সেভাবে পদ্মার ইলিশের দেখা মেলেনি। বনগাঁ নিউ মার্কেট বা ট বাজারে যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগ মায়ানমারের। আরব সাগরের ইলিশ আসছে গুজরাত হয়ে। বনগাঁ সহ রাজ্যের অন্যান্য বাজারে সেই ইলিশই পাওয়া যাচ্ছে। বিস্বাদ হলেও সেই ইলিশ কিনে মনের শান্তি এই যা।
বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতে পদ্মার ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। হাসিনা সরকারের আমলে পুজোয় উপহার হিসাবে ফি বছর ইলিশ এসেছে এ বাংলায়। স্টোরে রেখে সারাবছর ইলিশের জোগান বজায় রাখতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইলিশ আমদানি নিয়ে সংশয়ের মেঘ ঘনিয়েছে। অন্যান্য বছর এই সময় বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে কিছু ইলিশ ঢুকত। বনগাঁর বাজারগুলিতে তা মিলতও। এ বছর চোরাপথ বন্ধ। ইলিশেরও দেখা নেই বাংলার বাজারে।