‘নির্মম’ নয়, মমতার নেতৃত্বে ‘নির্মল’ সরকার চলছে বাংলায়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পালটা তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৪৮: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর প্রথম বার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতার সরকারকে লক্ষ্য করে তোপ দেগেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেছেন, ‘পাঁচ সঙ্কটে জেরবার পশ্চিমবঙ্গ। এক, হিংসা-অরাজকতা, দুই মা-বোনেদের নিরাপত্তা নেই, তিন, বেকারত্ব, চার, দুর্নীতি, পাঁচ, গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া।’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলায় মা-বোনেদের সুরক্ষা নেই, জঘন্য অপরাধ হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, এখানকার সরকারের নির্মমতারই উদাহরণ। এখানকার নির্মম সরকারের যত উদাহরণ দেব, কম পড়বে।’
এরপরই দেড় ঘণ্টার মধ্যেই মোদীকে জবাব দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ বলতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘ওই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ ওঁরা দিয়েছেন। এই নাম দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে। যে সময় বিজেপির সমর্থকেরাও দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, সেই সময় নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসাবে এখানে রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী!’ মোদীর জনসভা নিয়ে মমতা বলেন, ‘উনি বিভাজনের রাজনীতি করছেন। কেন আজ ওঁকে অসম থেকে লোক নিয়ে আসতে হল? তার মানে উত্তরবঙ্গের মানুষ ওঁকে চিনে গিয়েছেন। ওঁর উপর আর মানুষের বিশ্বাস নেই।’
শুক্রবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে অলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রিমা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নির্মল সরকার চলছে। আপনি দয়া করে এখানে এসে আমাদের রাজ্যকে দূষিত করবেন না।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তথ্য দিয়ে বলেন, নরেন্দ্র মোদী উত্তরবঙ্গের কোনও চা বাগানের জন্য এক পয়সাও দেননি। তিনি শুধু বিভিন্ন সময় কেবল মিথ্যে প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেছেন।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, নরেন্দ্র মোদীর দলের এক নেতা বলছেন- অপারেশন সিঁদুরের পর এবার অপারেশন বাংলা! তাঁদের পরিকল্পনাটা কি? তাঁরা কি আমাদেরকে জঙ্গিদের সঙ্গে তুলনা করছেন, বাংলার রাস্তায় রক্ত ঝরাতে চাইছে? এটা বিজেপি’র একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা।