শাশুড়িদের রান্নাঘরের ধকল থেকে মুক্তি দিয়ে জামাইষষ্ঠীকে আরও আকর্ষণীয় করতে পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অভিনব উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:০০: রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। পয়লা জুন জামাইষষ্ঠী। তারপরই কব্জি ডুবিয়ে খেতে বসবেন জমাইরা। জমাই আদরের তোড়জোড় ইতিমধ্যেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে শ্বশুরবাড়িতে। ওই দিনটি এবছর রবিবার হওয়ায় বাড়তি সংযোজন, ছুটির দিনে চুটিয়ে খাওয়া। শহরের নামী রেস্তরাঁগুলি এই উৎসব উপলক্ষ্যে প্যাকেজ সিস্টেমে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে।
রাজসিক ভোজ থালি নিয়ে হাজির রেস্তরাঁগুলি। কেউ বলছে, জামাই মানে রাজা। তাই রাজসিক ভোজ। আবার কোনও রেস্তরাঁ বলছে, মোরা সবাই রাজার জামাই। তাই ষষ্ঠীর ভোজ থালিতে কে কাকে টেক্কা দেবে তার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাহারি নানা পদের সম্ভার নিয়ে সকলেই চাইছে রেস্তরাঁয় ভোজন রসিকদের টেনে আনতে।
আর এইখানেই সেরা থালি দিয়ে ‘ফুড-পাতে’ ছক্কা হাঁকানোর উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম। তারা সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ফুলকো লুচি দিয়ে শুরু। শেষ পাতে মিষ্টি পান। মধ্যিখানে বেগুন সুন্দরী, পটলের দোরমা, গলদাচিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি, পাঁঠার কষা, গন্ধরাজ স্যালাড, মাছের পাঁপড়, আমের চাটনি, তালশাঁস সন্দেশ, পান্তুয়া, মিষ্টি দই। সঙ্গে আছে পাকা আম। পাত পেড়ে এসব খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকারের পর্যটন উন্নয়ন নিগম। উপলক্ষ জামাইষষ্ঠীতে বাঙালিয়ানার মোড়কে ‘জামাই আদর’।
শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কাছাকাছি এক্কেবারে সমুদ্র উপকূলে হচ্ছে গোটা আয়োজন। সূত্রের খবর, তবে শুধু দিঘা নয়, আগামী ৩১ মে ও ১ জুন এই রাজকীয় ভোজের আয়োজন থাকছে দিঘার দিঘালি-১, শিলিগুড়ির মৈনাক, বোলপুরের শান্তবিতান এবং বিধাননগরের উদয়াচলে রাজ্য পর্যটন আবাসনে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বুকিং প্রক্রিয়া।
খরচ কত? দিঘালি-১ পর্যটন আবাসন কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কোনও জামাইষষ্ঠীতেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবারই প্রথম। লাঞ্চ ও ডিনারের ক্ষেত্রে প্রতি প্লেটের দাম রাখা হয়েছে ১০৯৯ টাকা।
প্রতিদিন দু’বেলায় ৫০টি করে মোট ১০০টি কুপন পাওয়া যাবে।