নিজস্ব অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করছে রাজ্য, পঞ্চায়েতের অডিটের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে এবার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:০০: নিজস্ব অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করছে রাজ্য সরকার। তার মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে অডিটের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে। আবার, রাজ্যের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে বা সেন্ট্রাল পোর্টালে সংরক্ষিত থাকবে প্রতিটি পঞ্চায়েতেরও হিসেব নিকেশের নথি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ‘অডিট অনলাইন’ পোর্টালের মাধ্যমে ‘এগজামিনার অব লোকাল অ্যাকাউন্টস’ বা ইএলএ’রা পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসেব নিকেশ সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করে দেবেন। এর ফলে অডিটাররা যেকোনও জায়গায় এবং যেকোনও সময়ে অডিট সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন। মাঝে মধ্যেইে পুরনো অনেক নথিরই প্রয়োজন পড়ে। তবে সহজে তা না-মেলার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
সেক্ষেত্রে এই নয়া অডিট ব্যবস্থাপনা চালুর উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। কারণ, এর ফলে প্রতিটি পঞ্চায়েতের সমস্ত নথিপত্রের যথাযথ সংরক্ষণ হবে। সেসব ডাউনলোডও করে নেওয়া যাবে যেকোনও সময়ে। ফলে বাড়বে স্বচ্ছতা।
এই অডিটের দায়িত্ব বেঙ্গল এজি’র। ফলে মূলত তাদের ব্যবহারের জন্যই ‘স্মার্ট পঞ্চায়েত’ উদ্যোগের অধীনে এই পোর্টাল তৈরি করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তবে এর ফলে অডিটের কাজের অগ্রগতির রিয়েল টাইম মনিটরিং করা যাবে বিভাগের সদর দপ্তর, ইএলএ’র সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলা সদর দপ্তর থেকে।
ওইসঙ্গে এর ফলে দূরদূরান্তের পঞ্চায়েতগুলিতে গিয়ে আর নথি সংগ্রহের প্রয়োজন পড়বে না। পঞ্চায়েতগুলির আর সরাসরি অডিটরদের কাছে গিয়ে নথি জমা করার প্রয়োজন পড়বে না।
অডিটের সময় এলেই এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে পঞ্চায়েতগুলিকে। আর অডিটের জন্য কী কী নথি জমা দিতে হবে, তা জানানো হবে এই পোর্টালের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রতিটি জেলাশাসককে পাঠিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিট হয়নি, এমন অজুহাতে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে দেওয়ার হুমকি শোনায় কেন্দ্র। এবার অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হলে তার কোনও সম্ভাবনাই আর থাকবে না।