কুয়ালা-লামপুরে ‘ভারতীয়তা’র পাঠ দিলেন অভিষেক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১.৪০: জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া হয়ে নিজেদের শেষ স্টপ মালয়শিয়ার রাজধানী কুয়ালা-লামপুরে রয়েছে সঞ্জয় ঝায়ের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় দল, যার সদস্য হয়ে দেশের পক্ষে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্ধর্ষ বক্তব্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কুয়ালা-লামপুরের বক্তব্যে দলগত রাজনীতির ঊর্ধ্বে ভারতীয়তা, ভারতীয়ত্বের পাঠ পড়ালেন অভিষেক।
অভিষেক বলেছেন, “আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। শাসকদলের (বিজেপি) সঙ্গে আমার পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু এখানে আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি আমার রাজনৈতিক স্বার্থকে দেশের স্বার্থের সামনে বাধা হতে দিতে পারি না।”
অভিষেক আরও বলেন, “আমি এখানে কথা বলতে এসেছি তাই নিয়ে যা আমার দেশের স্বার্থের জন্য বলা উচিৎ, আর যেই আমি ভারতের মাটিতে পা রাখবো, তখনই আমি সেই বিষয় নিয়েই কথা বলবো, যা আমার দেশ এবং রাজ্যের স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয়।” “কিন্তু আমাদের সকলকে বুঝতে হবে যে আমি সরকারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সহমত হতে নাই পারি, এবং আমরা শিরদাঁড়া না বেঁকিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো, সঠিক প্রশ্ন করেই যাবো। আমরা লড়ে যাবো, কিন্তু প্রশ্ন যখন আমার দেশের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা, আমি আমার দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবো,” বলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।
পাকিস্তানের আসল চক্রান্ত ফাঁস করে অভিষেক কুয়ালা-লামপুরের সভায় বলেন, “আমাদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে যে ওরা (পাকিস্তান) ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে নীচে টানতে চাইছিল, আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে। এটা আমাদের দায়িত্ব যে আমরা নিশ্চিৎ করি যাতে কাশ্মীর এগিয়ে যেতে থাকে এবং তার উন্নতিসাধন হয়।”
আগত দর্শকদের প্রতি আবেদন করে অভিষেক বলেন, “আপনারা পরেরবার ভারতে বেড়াতে এলে তিন থেকে চারদিন বেশি ঘুরে যাবেন, আর সেই তিন থেকে চারদিন আপনারা বরাদ্দ করবেন শুধুমাত্র কাশ্মীরের মানুষদের উন্নতিকরণের জন্য, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য। আমি এই আবেদন আপনাদের সামনে করে গেলাম।”
“বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ” বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন অভিষেক। এর আগেও একাধিক দেশে ভারতের পক্ষে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তুখোড় বক্তব্য রেখে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিষেক। মালয়শিয়া সফর শেষ হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের দলের সূচি শেষ হবে, এবং সাংসদরা ফিরতে পারবেন দেশে।