কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাত্রীদের সুরক্ষার্থে বড় পদক্ষেপ শিয়ালদহ ডিভিশনের

June 2, 2025 | 2 min read

নিউ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১৪:০০: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভারী বৃষ্টি হলে রেলের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ট্রেন পরিষেবার স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে শিয়ালদহ ডিভিশন। আজ DRM-এর নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। একনজরে দেখা যাক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলি –

১. বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ডিজেল জেনারেটর (DG set) বসানো হয়েছে। ট্র্যাকে জলজট প্রতিরোধে ও ভারী বৃষ্টির সময় দ্রুত জল নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পাম্প বসানো হয়েছে।

২. এমার্জেন্সি কন্ট্রোল সেল টানা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অপারেটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল, সিগন্যাল ও টেলিকম বিভাগের অভিজ্ঞ কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ স্থান উপস্থিত থেকে নজরদারি করবেন।

৩. RPF সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। ৮০০টি বৃষ্টিরক্ষা স্যুট ইতিমধ্যেই সুরক্ষা কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

৪. ইলেকট্রিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও সিগন্যাল-টেলিকম সরঞ্জামের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৫. অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ট্র্যাকে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। গত অর্থবর্ষে শিয়ালদহ ডিভিশনে এইরকম ৫৪টি ঘটনা ঘটেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করা হচ্ছে।

৬. ক্যানিং ও ডায়মন্ড হারবার ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকা, তাই এখানে বিশেষ নজরদারি থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত মনসুন পেট্রোলিং চালানো হবে।

৭. ঝড়-বৃষ্টিতে ট্রেন চলাচল যাতে ব্যাহত না হয়, তাই কাঁচড়াপাড়া, রানাঘাট, বহরমপুর, ব্যারাকপুরসহ বিভিন্ন রুটে গাছ কাটার কাজ জরুরি ভিত্তিতে চলছে।

৮. ঝড় বৃষ্টির সময় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ওভাওভারহেড ইকুইপমেন্ট (OHE)-এর রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে টাওয়ার ওয়াগন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

৯. জল চুঁইয়ে পড়ে, প্ল্যাটফর্মে জল জমে শর্ট সার্কিট বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ২০৪টি স্টেশনের ছাউনি ঠিকঠাক অবস্থায় রাখতে বলা হয়েছে।

১০. ১২৪টি লিমিটেড হাইট সাবওয়ে (LHS)-তে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পাম্পিং অ্যারেঞ্জমেন্ট নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবেদনশীল LHS এলাকায় সেন্সর-ভিত্তিক জলজট পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা বসানো হয়েছে।

১১. সোনারপুর, বারাসাত, বনগাঁ, রানাঘাট ও ব্যারাকপুর-এ রেইন গেজ বসানো হয়েছে, এর মাধ্যমে বৃষ্টির পরিমাণ মাপা যায় এবং সেইমতন ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

১২. নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, কৃষ্ণনগর, ব্যারাকপুর, বারাসাত-সহ ৯টি জায়গায় অ্যানিমোমিটার বসানো হয়েছে, যাতে বাতাসের গতি ও অভিমুখ নির্ধারণ করে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত উদ্ধার পরিকল্পনা নেওয়া যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#sealdah division, #Natural disasters, #Safety, #Passengers

আরো দেখুন