অপারেশন সিঁদুরে দেশের হয়ে লড়া বীরসন্তানকে বরণ করে নিল রানাঘাট

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,৯:৩০: কার্গিল যুদ্ধ থেকে সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুর, দেশকে রক্ষা করতে একের পর এক লড়াই লড়ে গিয়েছেন রানাঘাটের ভূমিপুত্র কৃষ্ণকান্ত হালদার। আলফা কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে অপারেশন সিঁদুরের সময় লাগাতার গুলিবর্ষণের মাঝেও লাইন অব কন্ট্রোলের বর্ডার পোস্ট আঁকড়ে ছিলেন তিনি। এবার অবসর গ্রহণ করে বাড়ি ফিরলেন কৃষ্ণকান্ত। জাতীয় পতাকা নিয়ে আমজনতা তাঁকে অভিবাদন জানাল। শোভাযাত্রা করে বীর জওয়ানকে বাড়ি অবধি পৌঁছে দিলেন তাঁরা।
রানাঘাট-২ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃতিনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত হালদার। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও বিধবা বৃদ্ধা মা, দুই ছেলে-মেয়ে আছে তাঁর। ১৯৮৩ সালে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফে যোগ দেন তিনি। দীর্ঘদিন উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড সীমান্তের দায়িত্ব সামলেছেন। পরবর্তীতে রাজস্থান, গুজরাত হয়ে তাঁর পোস্টিং হয় কাশ্মীরে। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময়ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। পদোন্নতি হয়ে কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেন।
সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পাল্টা ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে ভারত। সেই সময় তিনি আলফা কোম্পানির কমান্ডার হিসাবে সীমান্ত সামলাচ্ছিলেন। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে গুলিবর্ষণের দ্বায়িত্ব আসে তাঁর কোম্পানির কাঁধে। এক টানা ৬৫ঘণ্টা লড়াই করেছেন তিনি। কমান্ডার হিসেবে লাইন অব কন্ট্রোলে থাকা ১৩৬জন আধাসেনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাকিস্তানি পোস্ট সিলাম ও মিউহাট ধ্বংস করেছে তাঁর কোম্পানি।
তিনি অবসর গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে রানাঘাটে ফেরেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে স্টেশন চত্বরে শতাধিক মানুষের ভিড় করে। ফুলের মালা পরিয়ে অভিবাদন জানানো হয়। জাতীয় পতাকা নিয়ে শোভাযাত্রা করে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানকে শ্যামনগরের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয় রানাঘাটের মানুষ।