দেশ বিভাগে ফিরে যান

Shashi Tharoor: পুত্রের প্রশ্নে বিদ্ধ শশী থারুর! তারপর কী হল?

June 6, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১৩:১৮: বিদেশের মাটিতে এক কূটনৈতিক সম্মেলনে ব্যতিক্রমী এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল নিউ ইয়র্ক। কংগ্রেস সাংসদ এবং ভারতের প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ডঃ শশী থারুর (Shashi Tharoor) যখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ ও কূটনৈতিক বার্তা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন, ঠিক তখনই ভিড়ের মধ্যে থেকে এক পরিচিত কণ্ঠস্বর ভেসে এল – তাঁর নিজের ছেলের!

স্মিত হাসিতে থারুর বললেন, “That shouldn’t be allowed! This is my son.” ঘটনাটি ঘটে Council on Foreign Relations-এর একটি অনুষ্ঠানে, যেখানে থারুর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলকে (All-Party Delegation)। একই রকম ডেলিগেশনের অংশ হিসেবে বিদেশের মাটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়িয়েছেন পাকিস্তান পোষিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, এবং একই কাজ আরও পাঁচটি দেশ, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে, করছেন শশী থারুর এবং তাঁর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

হঠাৎ করেই প্রশ্ন করার জন্য উঠে দাঁড়ান থারুরের পুত্র, ঈশান থারুর (Ishaan Tharoor), যিনি ওয়াশিংটন পোস্টে কর্মরত একজন আন্তর্জাতিক বিষয়ক কলামনিস্ট (Global Affairs Columnist – Washington Post)। তিনি বলেন, “Ishaan Tharoor, Washington Post. Definitely asking a question in a personal capacity. Mostly to say hi before you go off to your next engagement.”

ঘরে উপস্থিত কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের মধ্যেও তখন হালকা হাঁসির রোল উঠেছিল।শশী থারুর মৃদু হাসি হেসে বললেন, “Well, I’m very glad you raised this, Ishaan. I didn’t plant it, I promise you. This guy does this to his dad!”

তবে প্রশ্নটা ছিল একেবারে গুরুতর। ঈশান জানতে চান, “আপনি যখন পশ্চিম গোলার্ধের (Western Hemisphere) বিভিন্ন দেশে ভারতের কূটনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন, তখন কি কোনও সরকারি প্রতিনিধি আপনার কাছে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ (evidence) চাইছেন?”

থারুর জবাবে বলেন, “খুব সাধারণভাবে, কারোর এই বিষয়ে কোনো দ্বিধা ছিল না, এবং কেউ আমাদের থেকে প্রমাণ চায়নি। কিন্তু সংবাদমাধ্যম দু-তিন জায়গায় প্রমাণ চেয়েছে। পরিষ্কারভাবে বলছি, ভারত এটি (অপারেশন সিঁদুর) করতো না, যদি না আমাদের কাছে সঠিক প্রমাণ থাকতো।”

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদে দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তার একাধিক প্রমাণ অতীতে ভারত পেয়েছে।
“আমেরিকানরা এখনও ভুলে যাননি যে ওসামা বিন লাদেন (Osama Bin Laden) পাকিস্তানে এক সেনাঘাঁটির (Army Camp) পাশে লুকিয়ে ছিল। মুম্বই হামলার (Mumbai Attacks) ক্ষেত্রেও পাকিস্তান প্রথমে সমস্ত দায় অস্বীকার করেছিল। এটাই ওদের ধরণ – জঙ্গি পাঠাবে, তারপর বলবে কিছুই জানে না।”

থারুর জানান, “গত ৩৭ বছর ধরে পাকিস্তান থেকে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে এবং প্রতিবারই তারা দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। ওদের মুখের কথায় বিশ্বাস নেই। তাই আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমরা যথেষ্ট জোরালো প্রমাণ নিয়েই এসেছি।”

এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media)। নেটিজেনরা এই মুহূর্তকে বলছেন “বাবা-ছেলের আলাদা কেমিস্ট্রি”, আবার কেউ কেউ বলছেন, “সংবেদনশীলতা, মেধা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের এক দুর্লভ সংমিশ্রণ।” এটি ছিল এক বিরল মুহূর্ত – যেখানে একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক (senior politician) নিজের দায়িত্বশীল ভূমিকায় রয়েছেন, আর সেই মুহূর্তেই তাঁর সাংবাদিক পুত্র (journalist son) একটি প্রশ্ন তুলে দিলেন – যা ছিল একইসঙ্গে ব্যক্তিগত ও প্রাসঙ্গিক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Washington, #New york, #ishaan tharoor, #shashi tharoor

আরো দেখুন