দেশ বিভাগে ফিরে যান

Madhya Pradesh Salary Scam: মধ্যপ্রদেশে ২৩০ কোটির বেতন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিজেপি সরকার!

June 7, 2025 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) চলছে এক বিস্ময়কর কেলেঙ্কারি!! রাজ্যের প্রায় ৯ শতাংশ সরকারি কর্মচারী – সংখ্যায় প্রায় ৫০,০০০ – গত ছয় মাস ধরে কোনো বেতন (salary) পাননি। অথচ তারা সরকারি নথিতে ‘আছেন’। রয়েছে নাম, রয়েছে এমপ্লয়ী কোড, কিন্তু নেই কোনো বেতন!

এটি শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ফাইলের ভেতর চাপা পড়ে থাকা কোনো ভুল নয় – এটি হতে পারে বিজেপি শাসিত, ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের ইতিহাসে অন্যতম বড় বেতন কেলেঙ্কারি (salary scam)। অথচ বিজেপি সরকার পুরো বিষয়টি নিয়ে অস্বাভাবিক রকম নীরব।

একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি এমন কিছু নথি খতিয়ে দেখে এমন তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে যা চমকে দেওয়ার মতো। সরকারি তথ্য অনুযায়ী এই কর্মচারীদের অস্তিত্ব রয়েছে। তারা নিছক কাল্পনিক নয় – তাদের নাম ও এমপ্লয়ী কোড সরকারের ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (IFMIS) নথিভুক্ত। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এদের কাউকেই বেতন দেওয়া হয়নি।

২৩ মে রাজ্যের ট্রেজারি এবং অ্যাকাউন্টস বিভাগের কমিশনার সমস্ত ড্রয়িং এন্ড ডিসবারসিং অফিসারদের (DDO) একটি চিঠি পাঠান। সেখানে বলা হয় —
“IFMIS-এ এমন বহু স্থায়ী/অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন যাদের বেতন ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে আর তোলা হয়নি। অথচ তাদের কর্মী কোড আছে, ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হয়নি এবং বিদায় প্রসেসও করা হয়নি।”

এই চিঠির পরেই রাজ্যের প্রায় ৬০০০-এর বেশি DDO-র উপর নজরদারি শুরু হয়। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় – কীভাবে প্রায় ₹২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি (fraud) ঘটতে পারে!

এখন রাজ্যজুড়ে একটি ভেরিফিকেশন ড্রাইভ চলছে। প্রত্যেক DDO-কে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে যে তাদের দপ্তরে কোনো অনথিভুক্ত কর্মচারী কাজ করছে না।

রাজ্যের একজন ঊর্ধ্বতন অর্থ দপ্তরের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে হতে পারে কারোর বদলী হয়েছে, কিংবা কেউ সাসপেন্ড হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি টানা ছয় মাস বেতন না পায় এবং চাকরি ছেড়েও না দেন, সেটা তো বড় দুর্নীতির আভাস!

প্রশ্ন উঠছে – এই ঘটনা কি কেবল কোনো “অনিয়ম?” নাকি এটি বিজেপি সরকারের সময়কালে হওয়া আরেকটি জেনে-শুনে লুকিয়ে রাখা দুর্নীতি? রাজ্য সরকারি কাঠামোয় এত বড় সংখ্যায় ‘নীরব কর্মচারী’ (ghost employees) কীভাবে রয়ে গেল?

আরও অবাক করার মতো বিষয়, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অর্থমন্ত্রী এখনো কোনও বিবৃতি দেননি।

বিজেপি সরকার একদিকে “ডবল ইঞ্জিন” আর “বিকশিত ভারত”-এর কথা বলছে, অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে হাজার-হাজার সরকারি কর্মচারীর বেতন আটকে রয়েছে মাসের পর মাস। এটা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটা স্পষ্ট দুর্নীতির চিত্র।

যদি সময়মতো তদন্ত না হয়, এই Ghost Employee Scam অচিরেই পরিণত হতে পারে ভারতের অন্যতম বড় সরকারি কেলেঙ্কারিতে। বিজেপি সরকার কি এবারও দায় এড়ানোর চেষ্টা করবে, নাকি সত্যিই কোনো পদক্ষেপ নেবে – তা দেখার অপেক্ষায় গোটা রাজ্য, তথা দেশ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Madhya Pradesh, #Salary Scam

আরো দেখুন