‘ভবানীপুর চ্যালেঞ্জে’ শুভেন্দুর শিরে সংক্রান্তি হয়ে উঠছে?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: আর মেরেকেটে ৩০০ দিন পরে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে রাজ্যের বিরোধীপক্ষের নেতা শুভেন্দু অধিকারী সে ভোটে ভবানীপুর, যা কিনা তৃণমূল কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তার কেন্দ্রে হারাবেন বলে ইতিমধ্যেই একাধিক বার চ্যালেঞ্জ করেছেন। এদিকে গোটা দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে সংঘঠনিক গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যতিব্যস্ত বিজেপি।
মাস দুয়েক আগে বঙ্গবিজেপির দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি নিজের দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে ‘সক্রিয় সদস্যপদ’ থেকে নাকি বহু কর্মীকে বঞ্চিত রাখা জোয়েছে বলে।
আড়াই মাস ধরে গঠন করা যায়নি দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলা কমিটি গঠনের ‘ফর্মুলা’ বেঁধে দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, সেই ফরমান নাকি মানতে রাজি হচ্ছেন না সেই জেলা সভাপতি।
বিজেপির উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় সভাপতি এ বারের সাংগঠনিক নির্বাচন পর্বে বদল হয়নি। উত্তরে তমোঘ্ন ঘোষ এবং দক্ষিণে অনুপম ভট্টাচার্যকে রেখে দেওয়া হয়েছে। গত মার্চে সভাপতি পদে তাঁদের বহাল রাখার ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু জুনের প্রথম সপ্তাহ পরও উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় নিজেদের কমিটি গড়তে পারেননি বিজেপি সংগঠন।
দক্ষিণ কলকতায় এর পাশাপাশি আরও প্রকট হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। বেহালায় মার্চ মাসে জেলা সভাপতি পদে ‘পুনর্নির্বাচিত’ হওয়ার জন্য সংবর্ধনা নিতে গিয়ে নিজের এলাকায়ই আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর গায়ে কালি ছেঁটানো হয়। তার ফলস্বরূপ চার জনকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হলেও ক্ষোভের আঁচ কমেনি।
লাগাতার চলছে অভ্যন্তরীণ অশান্তি। সাম্প্রতিকতম ঘটনা কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর উপস্থিতিতে দু’পক্ষের হাতাহাতি এবং ধস্তাধস্তি।

সংগঠন পর্বের শুরুতে বিজেপি নেতৃত্ব ঘোষণা করেছিলো যে দলের যে কর্মীরা অন্তত ৫০ জনকে ‘প্রাথমিক সদস্য’ হিসেবে নথিভুক্ত করাতে পারবেন, তাঁরা ‘সক্রিয় সদস্যপদ’ পাবেন বলে । অনুউপমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সব সফল কর্মীদের অনেককে ‘সক্রিয় সদস্য’ হতে দেওয়া হচ্ছে না।
জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুথ, মণ্ডল ও জেলা স্তরের নতুন কমিটিগুলিতে ৫০ শতাংশ সদস্য যে পুরনো কমিটি থেকে নিতে হবে সে নির্দেশিকাও নাকি তিনি মানতে চাইছেন না।
বৃহস্পতিবার বুথ সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবির উপস্থিতেও ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি শুরু হয়।
তাহলে কি ‘ভবানীপুর চ্যালেঞ্জে’ শুভেন্দুর শিরে সংক্রান্ত হয়ে উঠছে ? সেই কথা মাথায় রেখে তিনি নাকি দক্ষিণ কলকাতার গোলমাল দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার বার্তা পাঠাচ্ছেন কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার কিছু বিজেপি কর্মীদের জানিয়েছেন, অনুপম এখন সমস্যা মেটানোর চেষ্টাই করছেন না। তাই যদি হয়, তাহলে সব থেকে বেশি অসুবিধায় পড়বেন শুভেন্দুই। তাহলে কি আগামী দিনে তাঁকে এই ব্যাপারে আরও বেশি তৎপর হতে দেখা যাবে, এটাই এখন দেখার।