মোদীর ভারতে বাড়ছে দারিদ্র্য? পরিসংখ্যান তুলে ধরে পর্দা ফাঁস তৃণমূল সাংসদের

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১৩:২৭: দারিদ্র্য দূরীকরণে মোদী সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক। সত্যিই কি তাই? মোদী আমলে দারিদ্র্যের গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসছে ভারত? কী বলছে পরিসংখ্যান?
মোদী সরকারের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ বছরে ৩৪২ মিলিয়ন মানুষ ভারতে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ। যদিও সিএমআইই-র তথ্য বলছে অন্য কথা। প্রায় ৬২১ মিলিয়ন ভারতীয় দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের প্রশ্ন, দেশের প্রায় অর্ধেক সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে, সেক্ষেত্রে কীসের উন্নয়ন হল?
মোদী এবং বিজেপি, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন কেবল বিকাশের দাবি করে প্রচার করতে। অন্যদিকে, বিজেপি সরকার আশি কোটি দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। বিজেপি সরকারের মতে, ওই আশি কোটি উপভোক্তার খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। সাকেতের অভিযোগ, ভারতের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে মোদী সরকার। দেশের বেকারত্ব ও মূল্য বৃদ্ধি বাড়ছে, যা মানুষকে দারিদ্র্যের আঁধারে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষকে মিথ্যে বললে এবং এজেন্সির মাধ্যমে বিজ্ঞাপনী প্রচার করলেই দারিদ্র্য কমবে না। মোদী সরকার যদি স্বীকার করে যে সমস্যা রয়েছে, একমাত্র সেক্ষেত্রেই সমাধানের পথ খোঁজা সম্ভব হবে।
সাকেতের মতে, বিজেপি সরকার ও মোদী, অন্য সমাধানের পথে বাতলে ফেলেছেন। সাম্প্রদায়িক বিবাদের মাধ্যমে তারা মানুষকে ব্যস্ত রাখছেন। সেক্ষেত্রে দারিদ্রতা কখনওই ইস্যু হয়ে উঠতে পারছে না।
বিজেপি ক্রমশ দানে সমৃদ্ধ হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দারিদ্র্য সব ধর্মের মানুষকে প্রভাবিত করে। জামাকাপড় দেখে তা চিহ্নিত করা যায় না। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে গণতান্ত্রিকভাবে সরিয়ে দিলেই উন্নয়ন সম্ভব। হিন্দু-মুসলমান ছেড়ে একমাত্র তখনই আসল সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা হবে।