উপেন্দ্রকিশোরের টুনটুনি এবার ইংরিজিতে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬: টুনটুনির গল্প শুনলেই মনে ভেসে ওঠে ছোটবেলার একরাশ স্মৃতি। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির গল্প’ এখনও বাংলার শিশুদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এবার টুনটুনির গল্পের সেই নস্টালজিক স্বাদ পাওয়া যাবে ইংরেজি ভাষায়, ইংরেজি হরফে।
ইংরেজিতে বইটির নাম, ‘Tailor Bird Tales’, অনুবাদক সাহিত্যিক কমলিনী চক্রবর্তী এবং প্রকাশক রৌণক পাবলিকেশন। এই বইতে রয়েছে মোট কুড়িটা গল্প।
অনুবাদ সাহিত্যের প্রসঙ্গে উঠে আসে নানা অস্বস্তিকর প্রশ্ন, “এই বই কি বাংলার হুবহু অনুবাদ? না কি প্রচলিত গল্প থেকে অনুবাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে গিয়েছে?” ঠিক এইখানেই পাঠকের নানা কৌতূহলের উত্তর দিয়েছেন অনুবাদক কমলিনী। তাঁর কথায়, “কিশোর মনের চাহিদাকে মাথায় রেখেই অনুবাদের ধারা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। কখনওই যাতে মূল গল্প থেকে বিচ্যুত না হই সে দিকে খেয়াল রেখেই অনুবাদের কাজটি সম্পূর্ণ করেছি।”
আসলে, অনুবাদ এমন এক মাধ্যম, যা দিয়ে সাহিত্যের ইতিহাস এবং একটি ভাষা-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের বিভিন্ন আঙ্গিক বোঝা সম্ভব। আর এখানেই কমলিনী চক্রবর্তীর সাফল্য।

কলকাতার অক্সফোর্ড বুক স্টোরে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ১৯১০ সাল থেকে উড়ে চলা সেই টুনটুনি পাখির বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গে সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত বলেন, “আজ ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। আগামীতে আরও অনেক ভাষাতেও নিশ্চয়ই হবে। এই পাখি আরও অনেক বছর উড়ে চলবেই…”।
এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রকাশক রূপা মজুমদার, প্রসাদরঞ্জন রায়, মানসী রায়চৌধুরি, রীতা ভিমানি, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রসাদরঞ্জন রায় মন্তব্য করেন, “বাঙালির হৃদয়ে জড়িয়ে রয়েছে ‘টুনটুনির কথা“। আমরা বড়রা একরকমভাবে দেখি, ছোটদের কাছে এই ভালোবাসার অন্য টান। ইংরেজি ভাষায় বইটার লেখা হওয়ায় শুধু দেশের নয়, বিদেশের কাছেও সমাদৃত হবে।”
মানসী রায়চৌধুরির বিশ্বাস, আজকের দিনেও উপেন্দ্রকিশোরের সব লেখা সমানভাবে শিশু-কিশোরের পাশাপাশি বড়দের কাছে আকর্ষণীয়। এখন থেকে ইংরেজি ভাষার পাঠকদের কাছেও এই বই পৌঁছে যাবে।